রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে ত্বকের কী ক্ষতি হয়
রং ফর্সাকারী ক্রিম খুবই সস্তা দামে পাওয়া যায় এবং যত্রযত্র পাওয়া যায় বলে অনেকেই ব্যবহার করছে, কেউ জেনে আবার কেউ না জেনে। রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে ক্ষতি কী, আজ আমরা জানব একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ত্বকের দাগ সমস্যা ও সমাধান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেহরান হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।
আমরা দেখেছি, রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারের পর অনেকের ব্রণ কিংবা দাগ হয়ে, পেগমেন্টেশন হয়ে স্কিন নষ্ট হয়ে গেছে। এটা কতটা ভয়াবহ বলে আপনি মনে করেন? সঞ্চালক ডা. মুনা তাহসিনের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মেহরান হোসেন বলেন, এটি খুব একটা যুগোপযোগী প্রশ্ন। আমাদের দেশে বহু আগে থেকে, শুধু আজকে থেকে নয়, রং ফর্সাকারী ক্রিম, লাইটেনিং ক্রিম, নাইট ক্রিম, ব্রাইটেনিং ক্রিম যেটাই বলি না কেন বা স্নো, আগে যেটা বলা হতো; এগুলো আসলে প্রচুর প্রয়োগ করা হয়। বিশেষ করে ঢাকায় বলি বা গ্রামাঞ্চলে বলি, শহরাঞ্চলে বলি, সব জায়গায় প্রয়োগ করা হয়। আসলে আমাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে, ৩০-৪০-৫০-১০০ টাকার ক্রিমে যদি রং ফর্সা করা যেত বা রং হালকা করা যেত, তাহলে সবার রংই একই হয়ে যেত। আসলে এগুলোতে হয় কি, আমাদের স্কিনের ওপরে আউটার মোস্ট লেয়ারটা থাকে... সেটা আসলে শেডিং হয় বা সেটা আসলে ব্লিচড হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সাময়িক সময়ের জন্য মনে হচ্ছে ত্বকটা ফর্সা লাগছে বা ত্বকটা হালকা লাগছে বা রংটা ফর্সা হয়েছে। আসলে তা নয়। এটা স্কিনের ড্যামেজ করে স্কিনকে ফর্সা মনে হয়। দিনের পর দিন এটা ব্যবহারের ফলে ত্বক পাতলা হয়ে যায়। রগগুলো ভেসে উঠবে... মুখ লাল-লাল হয়ে যাবে, তখন রোদে গেলে লাল হবে, জ্বালাপোড়া করবে, চুলার কাছে যেতে পারবে না। পরে দেখা যাবে যখন সে স্টেরয়েডটা ব্যবহার করা ছেড়ে দিচ্ছে, এ ক্রিমের সবগুলোতে স্টেরয়েড থাকে, সে ক্ষেত্রে দেখা যায় তার অনেক বেশি অ্যাকনি হয়ে যায়, রিবাউন্ড হয়... স্কিনের অনেক বেশি ড্যামেজ হয়। এটা ট্রিট করা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়।