হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন? জানুন প্রতিকার
অনেকে হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে হরমোনজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে হরমোনজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. নুসরাত জাহান দীপা।
হরমোন কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, হরমোন হচ্ছে যে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম গ্রন্থি থাকে, গ্রন্থি থেকে বিভিন্ন রকম রস তৈরি হয় এবং যেটা জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।
অনেক সময় মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাদের স্কিনে, বিশেষ করে মুখের কথা যদি বলি, একটু লোমের পরিমাণটা বা পশমের পরিমাণটা বেশি থাকে। এটা কি হরমোনজনিত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে? উত্তরে ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, এটি আমাদের মেয়েদের জন্য অনেক বড় ধরনের সামাজিক সমস্যা তৈরি করে। বিশেষ করে যারা স্কুল-কলেজে যায়, তারা মুখের মধ্যে যদি একটুখানি লোম দেখা দেয়, তাহলে তার নানারকমভাবে বুলিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তার মনটা খারাপ হয়ে যায়, হতাশায় থাকে। অনেকের দেখেছি পড়াশোনাও বন্ধ করে দেয়, স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে যেতে চায় না, মুখ দেখাতে চায় না। এই জিনিসগুলো একটু আমলে আনা দরকার।
ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ আরও বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যারা মুখে পশম নিয়ে আসে, এটা পুরুষ হরমোন কোনও কারণে যদি মেয়েদের মধ্যে বেড়ে যায়। তার মধ্যে কমনেস্ট হচ্ছে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম। যেখানে কয়েকটা কমপোনেন্ট থাকে, মেয়েটা মোটা হয়ে যাবে, ঘাড় কালো হয়ে যাবে, বগলের নিচে কালো হয়ে যাবে, পেটে ফাটা ফাটা দাগ পড়তে পারে, মাসিক অনিয়ম হয়ে যাবে এবং তার মুখে ও গায়ে লোম দেখা দেবে। এই রোগের চিকিৎসা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পারিবারিক সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ।
হরমোনজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।