হার্টের পাওয়ার স্টেশন কী?
হার্ট একটি পাম্পিং অরগান। এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে এবং সেই রক্তকে ফুসফুসে প্রেরণ করে এবং অক্সিজিনেশনের মাধ্যমে আবার হার্টে নিয়ে আসে এবং পিউর ব্লাডকে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রেরণ করে হার্ট। তাই হার্টের সুস্থতা জরুরি। হার্টের পাওয়ার স্টেশন কী?
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।
হার্টের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম বা হার্টের পাওয়ার স্টেশন বা ট্রান্সমিশন সিস্টেম বলতে আমরা কী বুঝি। সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, আমরা জানি যে পানির যে পাম্প মেশিন, সেই পাম্প মেশিনের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন। বিদ্যুৎ ছাড়া তো আর মেশিন চলবে না। তাই হার্টেরও একটি বৈদ্যুতিক পাওয়ার স্টেশন বা সিস্টেম আছে। সেই সিস্টেম যে পার্টগুলো নিয়ে গঠিত, সেটাকে অ্যাসেনোড বা হার্টের পেসমেকার বলি। অ্যাসেনোড থেকে এবিনোড, সেটা হচ্ছে উপরের চেম্বার আর নিচের চেম্বারের মাঝখানে থাকে এবিনোড। এর মাঝে কিছু পাথওয়ে থাকে। মানে দুইটার মাঝখানে একটা কানেক্টিং সিস্টেম আছে। এবিনোড থেকে আবার দুটি ব্রাঞ্চ আছে... এর মাধ্যমে হার্টের মাংসপেশিতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। মানে এগুলো থেকে... প্রথমে পাওয়ার জেনারেশন হয়, যাকে আমরা পেসমেকার অব দ্য হার্ট বা অ্যাসেনোড, তারপর ট্রান্সমিশনের জন্য একটি সেন্টার থাকে, যাকে আমরা এবিনোড বলি। তারপর বিভিন্ন তারের মাধ্যমে হার্টের মাংসপেশিতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে। এটিই হচ্ছে হার্টের ইলেকট্রিক পাওয়ার সিস্টেম। এর মাধ্যমে হার্টে বিদ্যুৎ তরঙ্গ পৌঁছে এবং হার্ট তখন কাজ করার ক্ষমতা পায়।
ডা. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী আরও বলেন, আমরা জানি যে একটা হার্ট দৈনিক এক লাখ বার বিট করে। এর জন্য প্রচুর শক্তি দরকার। এই এনার্জিটা আসে সিস্টেমের মাধ্যমে। আমরা জানি যে প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ৯০ বার হার্ট বিট করে। বাচ্চার জন্মের পাঁচ সপ্তাহ থেকে হার্ট বিট করা শুরু করে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এভাবে চলতেই থাকে।