অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের লক্ষণগুলো কী?
অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার হলো উদ্বেগ জনিত ব্যাধি। একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে উদ্বেগ কাজের গতি বাড়ায়, তবে যদি সেটি অতিরিক্ত হয়ে যায়, তবে ব্যাধির পর্যায়ে পড়ে। তখন তাকে ডিজঅর্ডার বলা হয়।
অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০১৭তম পর্বে কথা বলেছেন সেলিনা ফাতেমা বিনতে শহিদ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের লক্ষণগুলো কী ?
উত্তর : যেমন বুক ধরফর করতে পারে। অনেকের মাথাব্যথা হয়ে যায়। কারো নিশ্বাসে কষ্ট হয়। কেউ রেস্টলেস (বিরামহীন) অনুভব করে। কেউ এক জায়গায় স্থির হয়ে বসতে পারে না। এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। মোট কথা তার দৈনন্দিন কাজগুলোকে ক্ষতি করবে।
প্রশ্ন : একজন মানুষ যদি এমন করে, তবে তার পরিবার কখন অনুভব করবে তাকে একজন বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে?
উত্তর : প্রত্যেকটি মানুষের ব্যক্তিত্ব, কাজের ধরন মোটামুটি একইরকম থাকে। যখন দেখবেন হঠাৎ করে পরিবর্তন, তাহলে ভাবতে হবে। ধরা যাক, ঘুমাচ্ছে না। কেন ঘুমাচ্ছে না? ভিষণ অস্থির লাগছে, দুশ্চিন্তা হচ্ছে। তবে সে হয়তো খুব ভালো ঘুমাতেন বা মোটামুটি ভালো ঘুমাতেন। ঘুমাচ্ছেন না, কিংবা খাওয়ার রুচিতে পরিবর্তন হয়েছে, কিংবা তিনি অহেতুক নেতিবাচক কথা বেশি বলছেন, কাজে ভুল করে ফেলছেন, কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না। কেউ কেউ বলেন হাত বা পা জ্বলছে, কেউ কেউ বলেন, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। ভেতরে একটি অস্বস্তি সবসময় অনুভব করছেন। তার চোখে মুখে ফুটে উঠবে। দেখা যাবে, তার দৈনন্দিন কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠে যেত, এখন তাড়াতাড়ি উঠছে। কিংবা সারারাত হয়তো তিনি ঘুমাতে পারছেন না। কিংবা পায়চারি করছেন। তার যে আচরণ সেটিতেও একটি প্রভাব পড়বে। কারো কারো অনেক সময় রাগ বেড়ে যায়। অল্পতেই বিরক্ত হয়। অনেক সময় আলোর তীব্রতা সহ্য করতে পারে না। খুঁটিনাটি বিষয়ে বেশি পারফেকশনিস্ট হয়ে যাচ্ছে,মনিটরিং করছে। বাচ্চারা একটু হয়তো খেলছে, সেটাতে সে বিরক্ত হচ্ছে। কারণ, তিনি নিজে ভেতরে অনেক অস্থির অনুভব করছেন। এই জন্য তার আশেপাশের বিষয়গুলো তাকে খুব নাড়া দিচ্ছে।