শিশুর অ্যাজমা বা হাঁপানি কীভাবে বুঝবেন
শিশু থেকে পরিণত বয়সের অনেকেই অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব শিশুর অ্যাজমা বা হাঁপানি হলে কীভাবে বুঝবেন অভিভাবকেরা।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে অ্যাজমা বা হাঁপানি বিষয়ে কথা বলেছেন জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক, শিশু অ্যাজমা ও অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ডা. এম এস খালেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
বড়দের শ্বাসকষ্ট হলে তারা বলতে পারে বা বুঝতে পারে। কিন্তু শিশুরা তো অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে কীভাবে বুঝব, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এস খালেদ বলেন, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, রোগী নিজে কিছু বলতে পারে না। মা-বাবা যেটা বলবে, তার ওপর ডাক্তারেরা চিকিৎসা করে। মা-বাবা যেটা বলবে, সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে শিশুর ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন করতে হয় এবং ডায়াগনসিসটা ওদিকেই যায়।
ডা. এম এস খালেদ বলেন, শিশুদের ক্ষেত্রে কীভাবে অ্যাজমা বোঝা যাবে। শিশু তো আর বলতে পারবে না যে আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কাশি হবে, শ্বাসটান হবে, বুকের মধ্যে আওয়াজ হবে, বুক ওঠানামা করবে এবং এগুলো বারবার হবে। ওষুধ খেল, ভালো হলো, কিছুদিন পর আবার হচ্ছে। আবার ওষুধ খাচ্ছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এখানে নেবুলাইজার। আমাদের দেশে নেবুলাইজার খুব ভালো ওষুধ। কিন্তু দুঃখজনক হলো আমাদের দেশে এটা খুব ভালো বিজনেস। দেখবেন যে গাছতলায় কারও একটা দোকান আছে, তারও একটা নেবুলাইজার মেশিন আছে। এবং কন্টিনিউয়াস সে নেবুলাইজিং করেই যাচ্ছে। ছোট বাচ্চা আসছে, তাকেও নেবুলাইজার করছে। ৭০ বছর বয়সি একটা লোক, তাকে নেবুলাইজার করছে। একই নেবুলাইজার, একই মেডিসিন। দেখা গেল, একটা বাচ্চাকে নেবুলাইজ করল, তার আগে একজন ৭০ বছর বয়সিকে নেবুলাইজ করেছে। সেটা ভালোভাবে ধোয়নি বা পরিষ্কার করেনি বা নিয়মমাফিক মেনে স্যানিটাইজ করেনি।
ডা. এম এস খালেদ যুক্ত করেন, একটা বাচ্চা, তার ভাইরাল কোনও কারণে শ্বাসটান হচ্ছে বা অ্যাজমার কারণে হচ্ছে। সিম্পল কোনও অ্যাজমা বা কমন কোল্ডও হতে পারে। সে এলো একটা ইনফেকশন নিয়ে। ওই যে নেবুলাইজারের যে মাস্কটা ছিল, হয়তো সেখানে বড়দের জীবাণু ছিল, তার শ্বাসতন্ত্রে চলে গেল। নেবুলাইজার হাইলি ফ্লো দেয় এবং একদম লোয়ার লাংসে চলে যায়। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
শিশুর অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।