ঘুম কম হলে যেসব সমস্যা হয়
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুব জরুরি। যাদের ঠিকঠাক মতো ঘুমের অভ্যাস রয়েছে তারা একরাত জেগেই দেখুন পরের দিন কাজকর্ম করতে কতটা বেগ পেতে হয়। আসলেই কম ঘুম শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। এটি হৃদরোগ, ওজন বাড়িয়ে দেওয়া, স্ট্রোকের মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েব এমডি জানিয়েছে কম ঘুমানোর ক্ষতিকর কিছু দিকের কথা।
১. বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা
কম ঘুমানো এবং দীর্ঘ মেয়াদি ঘুম না হওয়া বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যেমন- হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, অনিয়মিত হার্টবিট, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ইত্যাদি বাড়ায়। গবেষণায় বলা হয়, যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাদের বেশির ভাগই এসব রোগে ভোগে।
২. বিষণ্ণতা বাড়ায়
বলা হয়,মানসিক চাপ দূর করতে ঘুম জরুরি। কম ঘুম বিষণ্ণ ভাব বাড়িয়ে দেয়। কম ঘুমানোও কিন্তু বিষণ্ণতার লক্ষণ। আর বিষণ্ণতা থাকলে ঘুম আসা কঠিন হয়ে যায়। তাই ভালোভাবে ঘুমানো বিষণ্ণতা রোধে জরুরি।
৩. ত্বকে সমস্যা
কম ঘুমানো ত্বকের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। ত্বকে ফ্যাকাসে ভাব, ফোলা চোখ বা চোখ ডেবে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা তৈরি করে। কয়েকদিন কম ঘুমালেই হয়তো দেখবেন এই সমস্যাগুলো হচ্ছে। তবে যদি কম ঘুমানো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তবে ত্বকে বলিরেখা হয়, চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। কম ঘুম ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয়।
৪. ভুলিয়ে দেয়
যদি স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে চান, তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান। কেননা কম ঘুমানো মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তিকে নষ্ট করে দেয়। এতে ভুলে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে এবং মস্তিষ্কে একটি ভোতাভাব তৈরি হয়।
৫. ওজন বাড়ায়
আমাদের দেহের হরমোন লেপটিন জানান দেয় পেট ভরা আছে কি না- এই কথা। কম ঘুমালে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়। এতে ক্ষুধা লাগে। এটি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এটি ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ।
৬. যৌন জীবন ব্যাহত হয়
কম ঘুমানো পুরুষের টেস্টোসটেরনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। এটি যৌন জীবনকে ব্যাহত করে। তাই যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভালোভাবে ঘুমানোও জরুরি।