আজ বিশ্ব এইডস দিবস
বিশ্ব এইডস দিবস আজ শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর)। মরণব্যাধি এইডসকে রুখতে ও বিশ্ব সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর এই দিনটিতে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে যথাযথ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ বছর এর প্রতিপাদ্য: ‘কমিউনিটির আমন্ত্রণ, এইডস হবে নিয়ন্ত্রণ’। দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাতে নিয়েছে নানা কর্মসূচি।
১৯৮৮ সাল থেকে এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা বিশ্বে আজকের দিনে দিবসটি পালন করা হয়ে আসছে। বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমিত এক হাজার ১০০ জন শনাক্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এইডস শনাক্ত করার জন্য সারা দেশে ২৭টি কেন্দ্র রয়েছে এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় ১১টি কেন্দ্র থেকে, যা শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
যেভাবে ছড়ায়
এর তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। এই তিনটির বাইরে কোনো পদ্ধতি নেই। একটি হলো, দুজন মানুষের শারীরিক মিলনের মাধ্যমে হচ্ছে। দ্বিতীয়, ইনজেকশনের মাধ্যমে হতে পারে, ইনজেকশন যদি শেয়ার করে বা রক্ত দেওয়ার মাধ্যমে হতে পারে। তিন নম্বর হচ্ছে, মায়ের থেকে সন্তানের হতে পারে। মা যদি এইচআইভি পজিটিভ হয়, তখন এটি হতে পারে, তাও এর সম্ভাবনা খুব কম। ১০০ ভাগের এক ভাগও নয়, দশমিক পাঁচ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে। এই দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে পড়ে গেলে সন্তানও এইচআইভি পজিটিভ হতে পারে।
যৌন কার্যক্রমের মধ্যে নারী, পুরুষ, সমকামীদের মধ্যে ছড়িয়ে এইচআইভি ছড়িয়ে পড়ার হার বেশি। হেটারোসেক্সুয়াল যখন হচ্ছে, পুরুষ এবং মহিলা, তাদের মধ্যে কম, তবে সিগনিফিকেন্ট। সারা দেশে যত রোগীর আছে তাদের মধ্যে ৯০ ভাগের রোগই ছড়িয়েছে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে।