দেশের হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ডা. আব্দুল মালিক : বিএসএমএমইউ ভিসি
জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. আব্দুল মালিকের হাতে গড়া ছাত্ররাই আজ মহীরূপে পরিণত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ। বাংলাদেশে বিশ্বমানের হৃদরোগ চিকিৎসা এবং দেশের চিকিৎসাকে ও বিদেশের সমান পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবদান অনস্বীকার্য।
আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত ডা. আব্দুল মালিকের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. চৌধুরী মেশকাত আহমেদ।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সদ্য প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. আব্দুল মালিক ছিলেন দূরদর্শী সম্পন্ন কর্মবীর মানুষ। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি কাজকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার পথিকৃৎ।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, ডা. মালিকের সাথে আমার বহু কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। তিনি হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, তার সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশন তৈরি করে সেখানকার মানুষকে সেবা দানের সুযোগ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। তিনি বঙ্গবন্ধুর পিতা মাতাকেও সেবা দিয়েছিলেন। তিনি সারা জীবন মানুষকে সেবা দিয়েছেন। যারা তার ছাত্র তারাও মানুষকে সেবা দিয়েছে।। তিনি পরকালে এসব সেবার ফল সদকায়ে জারিয়া হিসেবে পাবেন। তিনি জান্নাতবাসী হবেন।
তিনি বলেন, অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক ও তার সহধর্মিনীর মধ্যে অনেক মিল ছিল। তার অর্ধাঙ্গিনীর সহযোগিতায় এতদূর এসেছেন বলে আমরা জেনেছি। তার স্ত্রীর কোনো চাহিদা ছিল না বলে তার জীবনে এত বড় কাজ করা সম্ভব হয়েছে। মালিক স্যার অনেক ব্যস্ততার কারণে সময়মতো খেতে পারতেন না। অথচ তার অর্ধাঙ্গিনী তার খাবার নিয়ে বসে থাকতেন। তিনি সন্তানদের তার মত করে বড় করে হৃদরোগীদের সেবায় নিয়োজিত করে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক স্যারের জীবন অনেক বর্ণাঢ্যময়। তার সঙ্গে অনেক জায়গায় অনেক অ্যাকাডেমিক কাজ করার সুযোগ হয়েছে। আমরা তার বর্ণাঢ্য জীবন সবাই স্মরণ করব। তাকে নিদর্শন হিসেবে, তাকে আদর্শ ও উদাহরণ হিসেবে আমরা নিজেদের গড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, তিনি হৃদরোগ প্রশমনের পাশাপাশি হৃদ্রোগ প্রতিরোধেও কাজ করেছেন। হৃদরোগের চিকিৎসা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাবার জন্য তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন। একই সঙ্গে মাদকবিরোধী সব আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি অফিসে ছিলেন মিতব্যয়ী কিন্তু বাসায় ছিলেন অনেক অতিথিপরায়ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি একাধারে দক্ষ সংগঠকের পাশাপাশি দক্ষ প্রশাসক ছিলেন।