শব্দ নিয়ে কথা
লেখার ‘শব্দ’ নয়, এটা হচ্ছে আওয়াজের ‘শব্দ’। আমরা তো অনবরত শব্দ শুনছি। কোনো শব্দ পছন্দের, কোনো শব্দ অপছন্দের। কোনো শব্দ শোনার জন্য আমরা কতই না অপেক্ষা করি। এই যেমন ধরো স্কুল ছুটির সময় ঘণ্টা বাজে, আর আমরা বুঝি যে স্কুল শেষ। এ আওয়াজটা শুনতে বেশ ভালো লাগে। আমরা তো আসলে সব সময় শব্দের মধ্যেই বসবাস করি। প্রশ্ন আসতে পারে, শব্দ আসলে তৈরি হয় কীভাবে?
শব্দ নিয়ে এমন বেশ কিছু বিষয় নিয়ে লিখেছে সায়েন্সকিডস নামের একটি ওয়েবসাইট। সেখান থেকেই কয়েকটি তোমাদের জন্য দেওয়া হলো :
১. শব্দ তৈরি হয় কম্পন থেকে। এই কম্পন থেকে শব্দতরঙ্গ তৈরি হয়। তারপর সেটা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের কানে এসে পৌঁছালে আমরা শব্দ শুনতে পাই।
২. মূল কম্পনটি যেখান থেকে বা যে মাধ্যমে হয়েছিল, আমাদের কানেও ঠিক একইভাবে কম্পন হয়। এতে করে আমরা বিভিন্ন ধরনের শব্দ শুনতে পাই।
৩. মানুষের চেয়ে অনেক ভালো কানে শুনতে পায় কুকুর। তারা এমন মাত্রার শব্দও দিব্যি টের পায়, যা সম্বন্ধে মানুষ কোনো ধারণাই করতে পারে না!
৪. বিভিন্ন প্রাণী বিপদাপদ টের পায় শব্দের মাধ্যমে। এতে করে বিপদের আগেই সতর্ক হয়ে যেতে পারে তারা।
৫. যেখানে বাতাস নেই, সেখানে শব্দও শোনা যায় না। বায়ুশূন্য মাধ্যমে শব্দের চলাচল সম্ভব নয়।
৭. শব্দের গতিবেগ আলোর চেয়ে কম, ঘণ্টায় ১২৩০ কিলোমিটার।
৮. জলীয় মাধ্যমে শব্দ বায়ু মাধ্যমের চেয়ে চারগুণ গতিশীল।
৯. শব্দতরঙ্গ নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে ‘অ্যাকুস্টিকস’ বলা হয়।
১০. বিদ্যুৎ চমকানোর আওয়াজ তৈরি হয় তীব্রভাবে উত্তপ্ত বাতাসের মাধ্যমে, যার চারপাশ ঘিরে থাকে বিদ্যুৎ। এর ফলে সাধারণ গতিবেগের চেয়ে বিদ্যুৎ চমকানোর আওয়াজ অনেক দ্রুত শোনা যায়।