বিস্ময়কর প্রাণিজগৎ
জীবন আছে আর চলাফেরা করতে পারে তাই প্রাণী। আমাদের চারপাশে তাকালে দেখা যাবে অসংখ্য প্রাণী। মানুষ নিজেও কিন্তু একটি প্রাণী। কোটি কোটি প্রাণীর মধ্যে বিচিত্র কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
ছোট প্রাণী ইঁদুরের প্রজননক্ষমতা বিস্ময়কর। মাত্র ১৮ মাসে একজোড়া ইঁদুর থেকে ১০ লাখের বেশি স্বজন তৈরি হতে পারে।
প্রাণিজগতের মধ্যে সবচেয়ে জোরে শব্দ করে নীল তিমি। এর তৈরি ১৮৮ ডেসিবলের (শব্দের তীব্রতার একক) শব্দ ৮০০ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়।
দৌড়ের জন্য বিখ্যাত প্রাণী ঘোড়া। মজার বিষয় হলো ঘোড়া দাঁড়িয়ে ঘুমায়।
জেলিফিশের শুঁড় ৩৬ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। আর জেলিফিশ দেখতে বেশ সুন্দর হলেও এটি প্রচণ্ড বিষাক্ত।
লাফিংয়ে চলা ঘাসফড়িংয়ের পায়ের পেশি একই সমান মানুষের পায়ের পেশির তুলনায় হাজারগুণ শক্তিশালী।
পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্র পাখি হ্যামিংবার্ড। ছোট এই পাখিটি ওড়ার সময় বেশ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি পাখিটি পেছনের দিকেও উড়তে পারে।
বুকের ওপর চলা সাপের মেরুদণ্ডে কোনো হাড় নেই। সাপের মেরুদণ্ড তৈরি হয় তরুণাস্থি দিয়ে।
মৌমাছি, মশা চলার সময় হালাক বিন বিন শব্দ হয়। শব্দটি সৃষ্টি হয় এদের পাখা নাড়ানো থেকে।
গণ্ডারের মাথার সামনের দিকে থাকা অত্যন্ত শক্তিশালী শিংটি তৈরি হয়েছে চুল জোড়া লেগে। এতে হাড় বা অন্য কোনো পদার্থ নেই।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিম তিমি হাঙ্গরের। তবে বাচ্চা ফোঁটা পর্যন্ত ডিম হাঙ্গরের পেটের মধ্যেই থাকে।
চোখ বন্ধ করলেও সাপ দেখতে পায়। কারণ পাতার মধ্যে দিয়েও এটি দেখে।
ভেড়ার চার পাকস্থলী যা এদের খাদ্য পরিপাকের কাজ করে।
মেরু ভালুকের চামড়া কালো। লোমের কারণে এদের সাদা ধবধবে দেখা যায়।
লোনলি টুনসের কাটুন চরিত্র তাসমানিয়ান ডেভিল কিন্তু সত্যি। অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া অঞ্চলের বনে এই মাংসাশি প্রাণীটি পাওয়া যায়।
বাড়ির সবাইকে বিরক্ত করা ছোট প্রাণী মাছি বেঁচে থাকে দুই থেকে তিন সপ্তাহ।
পুরুষ মশা কিন্তু মানুষকে কামড় দেয় না বা রক্ত খায় না। শুধু স্ত্রী মশা এই কাজ করে।
কোনো স্থান দিয়ে যেতে পারবে কি না, এই বিষয়টি বিড়াল মাপে কীভাবে জানো? এর গোঁফ দিয়ে।
উল্লিখিত বিষয়গুলো নিউজিল্যান্ডের সায়েন্স কিডস ওয়েবসাইড থেকে নেওয়া।