অবাক পৃথিবী
সৌরজগতে মানুষের বাসযোগ্য একমাত্র গ্রহ পৃথিবী। পাহাড়, পর্বত, আগ্নেয়গিরি, বন, সাগরসহ কতকিছু যে আছে এই পৃথিবীতে। ৫১ কোটি বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৃথিবীর মজার কিছু তথ্য জানা যাক।
প্রাকৃতিক গ্যাসের কোনো গন্ধ থাকে না। মানুষ এর সঙ্গে গন্ধ যোগ করে যেন বিতরণ ব্যবস্থার কোনো সমস্যার কারণে উন্মুক্ত স্থানে চলে এলে গ্যাস শনাক্ত করা যায়।
হাওয়াই দ্বীপটি ধীরে ধীরে জাপানের দিকে যাচ্ছে। এই জাপানমুখী যাত্রায় হাওয়াইয়ের গতি হলো বছরে ১০ সেন্টিমিটার! এর কারণ হলো মাটির নিচে অবস্থিত টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মরুভূমি সাহারার অবস্থান আফ্রিকা মহাদেশে। আকৃতিতে সাহারা মহাদেশটির তিনভাগের একভাগ।
ভূমিপৃষ্টের নিচে অত্যন্ত উত্তপ্ত তরল অবস্থায় থাকা এক ধরনের শিলা হলো ‘ম্যাগমা’। অগ্নুৎপাতের ফলে বাইরে চলে এলে এর নাম হয় লাভা।
পৃথিবীর দীর্ঘতম নীল নদের দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ৬৯৬ কিলোমিটার।
অগ্নুৎপাতের ফলে সৃষ্ট এক ধরনের শিলা পানির ওপরও ভাসতে পারে।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট পর্বতের উচ্চতা আট হাজার ৮৪৮ মিটার (২৯ হাজার ২৯ ফিট)।
সাগরের পানি মাত্রই লবণাক্ত। আর সবচেয়ে সবচেয়ে লবণাক্ত হলো আটলান্টিক মহাসাগরের পানি।
সাগরে কোনো ভূমিকম্প থেকে সুনামি সৃষ্টি হতে পারে। সুনামি সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।
বেশ শক্ত ও সুন্দর আকৃতির পাথর সৃষ্টি হয় ভূপৃষ্টের মধ্যে থাকা অবস্থায় প্রচণ্ড চাপ ও তাপে।
পৃথিবী কিন্তু পুরোপুরি গোলাকার নয়। এর উত্তর ও দক্ষিণ দিক কিছুটা চাপা।
ভীতিকর স্থান বলে পরিচিত বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। তবে এটি কিন্তু পৃথিবীর ব্যস্ততম সাগরপথের একটি।
গবেষকদের মতে পৃথিবীর বয়স সাড়ে ৪০০ কোটি বছর।
ক্রান্তীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বন হলো আমাজান। এটি দেশ হলে বিশ্বের নবম বৃহত্তম হতো। অবশ্য নয়টি দেশের সীমানাজুড়ে এই বন। এই বনের আয়তন ৫৫ লাখ বর্গমাইল।
পৃথিবীর সবচেয়ে নরম খনিজ হলো ট্যাল্ক। এটি ট্যালকম পাউডার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এই দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ প্রাকৃতিক ঝরনা নায়াগ্রা ফলস।
পৃথিবীর দীর্ঘতম খাত গ্রান্ড ক্যানিয়নের একদম নিচের নূড়িগুলোর বয়স প্রায় ২০০ কোটি বছর।
পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই ভূমিকম্প হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ভূমিকম্পের তীব্যতা এতটাই কম যে মানুষ বুঝতেই পারে না।
তথ্যগুলো নিউজিল্যান্ডের সায়েন্স কিডস ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।