অস্কারের অজানা ১০ কথা
অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে। অস্কারের ঝলমলে আয়োজন মুগ্ধ করেছে সবাইকে। শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান পেয়েছেন সৌভাগ্যবানরা। কে আর কারা পুরস্কার পেয়েছেন, সে তালিকাতেও হয়তো বা এতক্ষণে আপনার চোখ বোলানো হয়ে গেছে। হয়তো বা চিন্তা করছেন কোন কোন ছবিটা দেখা দরকার যেগুলো এখনো দেখে উঠতে পারেননি ব্যস্ততায়। এরই এক ফাঁকে দেখে নিন অস্কার অনুষ্ঠান নিয়ে বিচিত্র ১০ কথা। কে জানে, এনডিটিভির তালিকাভুক্ত এই তথ্যগুলো হয়তো এখনো আপনার অজানাই রয়ে গেছে!
১. সিলগালা করা খামের প্রচলন এমনি এমনি হয়নি। ১৯৪০ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস চূড়ান্ত ঘোষণার আগেই অস্কারে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ফাঁস করে দেয়। তার পর থেকেই এই বিশেষ ব্যবস্থা।
২. পুরস্কারপ্রাপ্তদের বক্তৃতার সময়সীমা মাত্র ৪৫ সেকেন্ড। এই সময় পেরিয়ে গেলে তার কথা ঢেকে দিতে অর্কেস্ট্রার বাজনদারি শুরু হয়ে যায়। তাতেও কাজ না হলে টেলিপ্রম্পটার দিয়ে তাকে সতর্ক করে দেওয়ার বন্দোবস্ত আছে। এরপরেও যদি কেউ ধন্যবাদ জ্ঞাপনের তালিকা বাড়িয়েই চলেন, তাহলে তার মাইক্রোফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়!
৩. অস্কার অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশিবার সঞ্চালনার রেকর্ডটি যার অধিকারে, তিনি বব হোপ। সঞ্চালনার দায়িত্ব নিয়ে মঞ্চে উঠেছেন ১৯ বার! নয়বার সঞ্চালক হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন বিলি ক্রিস্টাল এবং জনি কার্সন এ তালিকায় তৃতীয়। তিনি সঞ্চালনা করেছেন পাঁচবার।
৪. ‘অ্যান্ড দ্য উইনার ইজ..’ বাক্যাংশটি ১৯৮৯ সালে বাতিল করে দেওয়া হয়। সেই থেকে বলা হয় ‘অ্যান্ড দ্য অস্কার গোজ টু..’! মানে বিজয়ী কে হয়েছে বাদ দিয়ে এখন বলা হয় অস্কার উঠছে কার হাতে।
৫. সবচেয়ে বেশিবার অস্কারে সম্মানিত ওয়াল্ট ডিজনি। ৩২টি অস্কার!
৬. রবার্ট ওপেল নামের এক ফটোগ্রাফার দিগম্বর হয়ে শান্তিসূচক চিহ্ন দেখিয়েছিলেন অস্কার অনুষ্ঠানে। সেটা ১৯৭৪ সাল, ৪৬তম অস্কার অনুষ্ঠানের কথা!
৭. ১৯৫০ সাল থেকে অ্যাকাডেমি অস্কারপ্রাপ্তদের সাথে একটি চুক্তিভিত্তিক সমঝোতায় আসে। এই চুক্তির শর্তানুসারে কোনো বিজয়ী তাঁদের অস্কারের স্ট্যাচুটি প্রথমত অ্যাকাডেমিকে প্রস্তাব না করে অন্য কোনো পক্ষের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না। ১৯৫০ সালের আগে অবশ্য এমন কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। ১৯৯২ সালে বর্ষীয়ান অভিনেতা হ্যারল্ড রাসেল তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য নিজের জেতা অস্কারের মূর্তিটি সাড়ে ৬০ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দেন।
৮. এখনো পর্যন্ত অস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনজন। ১৯৩৫ সালে ডাডলি নিকোলস (চিত্রনাট্য- দি ইনফর্মার), ১৯৭০ সালে জর্জ সি স্কট (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- প্যাটন) এবং ১৯৭২ সালে মার্লোন ব্র্যান্ডো ( শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- দ্য গডফাদার)।
৯. তিনবার স্থগিত হয়েছে অস্কার অনুষ্ঠান। ১৯৩৮, ১৯৬৮ এবং ১৯৮১।
১০. ‘অস্কার’ নামধারী কোনো ব্যক্তি একবারই অস্কার জিতেছেন। এই ভাগ্যবানের নাম অস্কার হ্যামারস্টেইন। ‘লেডি বি গুড (১৯৪১) ছবিতে মৌলিক গানের জন্য অস্কার পেয়েছিলেন এই ‘অস্কার’!