মহাকাশের মজার কথা
রাতের আকাশে পিটপিট করে কত কত তারা। মনে হয় বিরাট বড় একটা ড্রইং খাতার পৃষ্ঠায় কে যেন ছোট্ট ছোট্ট ফোঁটা দিয়ে রেখেছে! দেখতে তো ছোট্ট একটা বিন্দুর মতো, কিন্তু একেকটা তারার প্রকৃত আকার ও আয়তন শুনলে কিন্তু ভিরমি খাবার দশা হয়। অজস্র তারা রয়েছে যেগুলো পৃথিবীর চেয়েও আকারে বহুগুণে বড়, এমনকি সূর্যের চেয়েও বড়সড় সাইজের তারাও রয়েছে। এই তারাগুলো মাঝেমধ্যে দিগ্বিদিক ছোটাছুটিও করে। এসব মজার আর অবাক কাণ্ড সারাক্ষণই ঘটতে থাকে মহাবিশ্বে। রহস্যময় মহাশূন্য নিয়ে জেনে নিতে পারো বেশ কিছু মজার তথ্য। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে শিশুদের জন্য এক মজাদার ওয়েবসাইট সায়েন্স কিডস থেকে।
১. পৃথিবীর চেয়ে সূর্য কত বড় জানো? - তিন লাখ গুণ!
২. হ্যালির ধুমকেতু শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল ১৯৮৭ সালে। এটি আবারও দেখা যাবে ২০৬১ সালে। সুযোগ কিন্তু মিলতে পারে দেখার, ক্যামেরা হাতের কাছে রেখে দিও!
৩. সবচেয়ে উত্তপ্ত ভূখণ্ড ওয়ালা গ্রহ ভেনাস। এর সাধারণ তাপমাত্রাই থাকে সাড়ে ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
৪. অনেক বিজ্ঞানীর মতে, সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে ডাইনোসরের অস্তিত্ব পুরোপুরি বিলোপ পেয়েছিল ছুটে আসা কোনো এক গ্রহাণুর আঘাতে।
৫. সৌরজগতের উৎপত্তি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি বছর আগে।
৬. শনি হচ্ছে একমাত্র বলয়যুক্ত গ্রহ।
৭. পৃথিবী থেকে যে মহাকাশচারীরা চাঁদে গিয়ে পায়ের ছাপ আর টায়ারের ছাপ রেখে এসেছিলেন, ওগুলো আজীবন থেকে যাবে। কারণ চাঁদে কোনো বাতাস নেই, তাই ওগুলো নিজ থেকে মুছে যাবারও কোনো রকম আশঙ্কা নেই!
৮. মানুষের বানানো কোনো কিছু প্রথম মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৫৭ সালে। ‘স্পুটনিক’ নামের একটি স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছিল রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) থেকে।
৯. ২০০৬ সালে গ্রহের সংজ্ঞায়নে একটু পরিবর্তন এনেছেন জ্যোতির্বিদরা। নতুন সংজ্ঞামতে প্লুটো এখন একটি বামন গ্রহ!
১০. বৃহস্পতিগ্রহের উপগ্রহ চারটি। এটাকে মজা করে এভাবেও বলা হয় যে, জুপিটারের চাঁদ চারটি! এই চার চাঁদের নাম খুব সুন্দর- ইউরোপা, গ্যানিমেড, ক্যালিস্টো ও লো।
১১. মঙ্গলগ্রহে অভিকর্ষের টান খুবই কম। বিষয়টা এ রকম- যে মানুষটির পৃথিবীতে ওজন ২০০ পাউন্ড, মঙ্গলে গিয়ে তার ওজন মাপলে পাওয়া যাবে মাত্র ৭৬ পাউন্ড!
১২. সূর্য আর চাঁদের অভিকর্ষজনিত কারণে জোয়ারভাটা হয়।