অনেক গুণের লিওনার্দো
লিওনার্দো ডা ভিঞ্চির নাম আমরা সবাই জানি। বিখ্যাত ছবি ‘মোনালিসা’র আঁকিয়ে তিনি। তাঁর আঁকা আরেকটি বিখ্যাত ছবি ‘দ্য লাস্ট সাপার’। মজার বিষয় হলো, চিত্রশিল্পী হলেও পাশাপাশি তিনি ছিলেন বিজ্ঞানী। অনেক গবেষণা আর উদ্ভাবনায় তিনি রেখেছেন বড় অবদান। তাঁর সম্বন্ধে বেশ তথ্য দেওয়া আছে সায়েন্সকিডস নামে একটি ওয়েবসাইটে।
১. লিওনার্দো ছিলেন ইতালিয়ান। ১৪৫২ সালের ১৫ এপ্রিল তাঁর জন্ম, মৃত্যু ১৫১৯ সালের ২ মে।
২. তিনি যে সময়ের মানুষ, তখন বিজ্ঞান আর শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি ঘটে। একে বলা হয় রেনেসাঁ বা নবজাগরণের সময়।
৩. লিওনার্দোর সেরা ছবি হলো মোনালিসা, দ্য ভিত্রুভিয়ান ম্যান এবং দ্য লাস্ট সাপার। এ ছাড়া তিনি এঁকেছেন আরো অজস্র ছবি।
৪. লিওনার্দো কেবল চিত্রশিল্পী নন—তিনি একাধারে ছিলেন বিজ্ঞানী, গণিতবিদ, প্রকৌশলী, লেখক, সংগীতজ্ঞ। একেই বলে মেধাবী।
৫. তাঁর ড্রইংগুলোর মধ্যে গানের যন্ত্রপাতির নকশা, যুদ্ধযানের নকশা, গণনাযন্ত্র, নৌযান—অনেক কিছুর নকশা রয়েছে। এর অনেকগুলো সে সময়ে বানিয়ে পরীক্ষাও করা হয়েছিল।
৬. ওড়ার বিষয়ে ছিল তাঁর বিশেষ আগ্রহ। তিনি পাখিদের ওড়ার বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং সে অনুসারে উড়ুক্কু যানের ডিজাইনও করেছেন। এর চেহারা মিলে যায় হেলিকপ্টারের সঙ্গে।
৭. লিওনার্দো লেখালেখি করতেন উল্টো ধাঁচে, অর্থাৎ তাঁর লেখা পড়তে আয়নার দরকার পড়বে।
৮. মানবদেহের অ্যানাটমি নিয়েও বিস্তারিত গবেষণা করেছেন লিওনার্দো। তাঁর নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও গবেষণার উল্লেখ করেছেন প্রায় ১০০টি ড্রইংয়ে।
৯. নিজের কাজ নিয়ে তাঁর বিখ্যাত এক উক্তি, ‘আমি জানি, অনেকেই এই কাজগুলোকে অনর্থক বলবে।’
১০. লিওনার্দোর বিখ্যাত বিজ্ঞান গবেষণাগ্রন্থ ‘কোডেক্স লেসিস্টার’ ১৯৯৪ সালে কিনে নেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।