টি-রেক্সের সন্ধানে
টিরানোসরাস রেক্স প্রাগৈতিহাসিক যুগের এক ভয়াবহ ডাইনোসর। সংক্ষেপে একে বলা হয় টি-রেক্স। এক হিসাবে বলা যায় যে, টি-রেক্সই সবচেয়ে সুপরিচিত ডাইনোসর! কারণ এটি বিশাল আকৃতি, ভয়ঙ্কর আক্রমণাত্মক স্বভাবের জন্যই হয়তো গবেষণা এবং ইতিহাসে বেশি বেশি পরিচিত পেয়েছে। টি-রেক্সের অনেক ফসিল পাওয়া গেছে বলে এর বিষয়ে জানাও গেছে অনেক বেশি।
১. টিরানোসরাস শব্দটি গ্রিক ভাষা থেকে এসেছে, যার মানে হলো বিশালাকার টিকটিকি। রেক্স শব্দটি লাতিন, যার মানে হলো রাজা।
২. টি-রেক্সরা পৃথিবীর যে অংশে থাকত, এখন সেখানে গড়ে উঠেছে আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় উত্তরাঞ্চল।
৩. দুই পায়ে দৌড়াত টি-রেক্স, যদিও তার পা ছিল চারটে! দুই পা দিয়েই এটি নিজের বিশাল মাথা আর প্রকাণ্ড লেজের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারত দিব্যি। এদের গতিবেগ নিয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও আন্দাজ করা হয়, গড়ে অন্তত ঘণ্টায় ২৫ মাইল!
৪. সাধারণত টি-রেক্স লম্বায় হতো ১৩ মিটার (৪২ ফিট), চওড়ায় ৪ মিটার (১৩ ফিট)। ওজন হতো প্রায় সাত টন! কল্পনা করতে পারছ?
৫. টি-রেক্সের খুলির আয়তন প্রায় দেড় মিটার (৫ ফিট)।
৬. যেকোনো মাংশাসী প্রাণীর মধ্যে এখন পর্যন্ত বড় আকৃতির দাঁত টিরানোসরাস রেক্সের। গোড়া থেকে মাপলে পাক্কা এক ফিট আকৃতির দাঁত ছিল এই প্রাগৈতিহাসিক দানবের!
৭. প্রতিটি টি-রেক্সের শারীরিক বৃদ্ধি তীব্রভাবে বাড়ত যখন তাদের বয়স ১৪ তে পৌঁছাত। এ সময় প্রতিবছর তাদের ওজন বাড়ত ৬০০ কেজি করে, আর এই গতিতে বৃদ্ধি চলতে থাকত পরবর্তী চার বছর।
৮. টি-রেক্সের সামনের দুটো হাত ছিল খুবই ছোট এবং ভয়ঙ্কর! এই দুই হাতে তাদের দুটো করে ধারালো নখওয়ালা আঙুল থাকত, যা তাদের শিকারের ক্ষেত্রে মূল কাজ করত অনেক সময়ই।
৯. ক্রিটেশিয়স যুগে বেঁচে ছিল টিরানোসরাস রেক্স- এখন থেকে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে বেঁচে ছিল এই প্রাণী।
১০. টি-রেক্সের কঙ্কাল সবচেয়ে বেশি দামে বিকোনো ডাইনোসরের দেহাবশেষ। ১৯৯৭ সালে শিকাগোর ফিল্ড মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টি টি-রেক্সে ৮৫% পরিপূর্ণ একটি কঙ্কাল কিনে নেয় ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে।
১১. স্টেগোসরাস রেক্স, ইগুয়ানাডন আর টিরানোসরাস রেক্স-এই তিন ডাইনোসরের অবয়ব অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বিখ্যাত ‘গডজিলা’!