কী করে বানায় ইরেজার?
লেখার সময় মাঝেমধ্যে কিন্তু আমাদের কিছু ভুল হয়। ধরা যাক, একটা অঙ্ক করলাম, কিন্তু বিয়োগের জায়গায় দিয়ে দিলাম যোগ চিহ্ন! আবার মনে করো সুন্দর একটা ছবি আঁকছি, একটা লাইন একটু বাঁকা হয়ে গেল। এমন হলে কিন্তু একটাই উপায়, ইরেজার দিয়ে ভুল অংশটুকু মুছে ফেলে সেটা আবারও ঠিকঠাক করা। আর এ জন্যই ইরেজার আমাদের খুব দরকারি এক বন্ধু। ‘মেডহাউ’ নামের এক ওয়েবসাইট থেকে জানা গেল ইরেজার বানানোর পদ্ধতি। পদ্ধতিটা বেশ লম্বা! আমরা বানাতে না পারি, কীভাবে বানায় তা তো জেনে নিতে পারি!
ইরেজার তৈরির প্রধান উপকরণ রাবার। প্রথমে রাবার গাছের গায়ে এক মিলিমিটার ব্যাসার্ধের লম্বা নালা কেটে তার নিচে ৩০ ডিগ্রি কোণে একটি টিনের পাত যুক্ত করে একটি পাত্র ঝুলিয়ে রাখতে হয়। তারপর সংগ্রহ করা রাবার থেকে চালনি দিয়ে ময়লা সরিয়ে পানি, অ্যাসিটিক এসিড ও ফর্মিক এসিড মিশিয়ে অ্যালুমিনিয়ামের চওড়া পাত্রে ঢালা হয়। কিছুক্ষণ পর রাবার জমাট হয়ে যায়। তারপর রোলারের সাহায্যে এর থেকে পানি সরিয়ে রোদে শুকানো হয়।
এবার প্রাকৃতিক নরম রাবারকে কিছুটা শক্ত ও কার্যকর করার জন্য এর সাথে একে একে মেশানো হয় রং, ভেজিটেবল অয়েল, ঝামা পাথরগুঁড়ো ও সালফার। রোলার মেশিনে ফেলে এসব উপাদান ভালোভাবে মেশানো হয়। তারপর এগুলো মাপ দিয়ে কেটে পুরুত্ব ঠিক করার জন্য ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে প্রেসার মেশিনে চাপ দিয়ে ঠান্ডা পানিতে ডুবানো হয়। ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর ফালি করে কাটা হয়।
অনেক সময় ইরেজারের দুই পাশে দুই রকম রং দেখা যায়। গাঢ় রঙিন অংশে একটু বেশি ঝামা পাথরগুঁড়ো ব্যবহার করে শক্ত ও খসখসে করা হয়। এই দুই রকম ফালি ট্রে-এর ওপর পাশাপাশি সাজিয়ে মেশিনের ঢুকিয়ে তাপ ও চাপ দিয়ে যুক্ত করা হয়।
এরপর আর বেশি কিছু নয়, মাপমতো কেটে প্রতিষ্ঠানের নাম আর মার্কা ছাপানোর মধ্যদিয়ে ইরেজার তৈরির কাজ শেষ হয়।
আমাদের তো আর কিছু না, যখন যেমন দরকার তেমন কিনে নিলেই হলো!