ঈদের খাবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রান্নার ১৩ উপায়
ঈদ মানেই মজাদার সব খাবারের আয়োজন;পোলাউ, জর্দ্দা,রোস্ট,কাবাব ইত্যাদি ভারী খাবারের পসরা। প্রত্যেকের বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার নানা আয়োজন করা হয় এই সময়। তবে ম্যেনু নির্বাচন ও রান্নায় যদি কিছুটা সাবধানতা মানা হয়,তবে স্বাস্থ্যগতভাবে অনেক লাভবান হওয়া যায়। যেমন-
১.ঈদের ম্যেনুতে ঘি বা বাটার কম ব্যবহার করা।
২.ক্যালরি যাতে না বাড়ে সেই লক্ষ্যে খাবারে কম চিনি ব্যবহার করা বা চিনির পরিবর্তে গুড় বা মধু ব্যবহার করা।
৩.মিষ্টান্ন তৈরিতে দুধের তৈরি মিষ্টান্ন তৈরি করা।
৪.ঈদের মেন্যু সাধারণত ক্যালোরি বহুল হয়। তাই এগুলোতে পেঁয়াজ বেরেস্তা বা ড্রাই ফ্রুটস ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। এতে কিছুটা হলেও ক্যালোরি কমে। যেমন:চালের জর্দ্দায় মোরব্বার পরিবর্তে সবুজ আঙ্গুর দেয়া বা কমলার খোসা ব্যবহার করা।
৫. লাচ্চা সেমাইয়ের পরিবর্তে দুধ সেমাই বা ফিরনি করা। এতে তেলের উপস্থিতি থাকে না।
৬. ঈদের মেন্যুতে ক্যালোরি কমানোর জন্য আলুর ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। যেমন : মাংসের কোরমায় আলু না দেয়া। এতে ক্যালোরি কিছুটা কমানো সম্ভব।
৭. কোমল পানীয় না খেয়ে টকদই, মাঠা বা লেবু পানি পান করা।
৮. রোস্ট বা রেজালায় মাওয়া ব্যবহার না করা। এতে স্বাদ একটু কম হলেও ক্যালোরি কিছুটা কমে যায়।
৯. মাংসের টুকরো খুব বড় না করে ছোট করে কেটে রান্না করা।
১০. ঘন দুধের মিষ্টান্নের পরিবর্তে ডেজার্ট হিসেবে দই খাওয়া। এতে হজমে সুবিধা হবে, ক্যালরিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
১১. বিরানির পরিবর্তে সবজি পোলাউ তৈরি করা।
১২. মাংসের মজাদার আইটেমের পরিবর্তে মাছ দিয়ে মজাদার মেন্যু রাখা। যেমন : মাছের সাদা কোরমা, মাছের চপ, মাছের কাটলেট, মাছের গ্রিল, বেকড ইত্যাদি।
১৩. রান্নায় ক্রিম, কনডেন্সমিল্ক, সস, ঘি, বাটারের পরিবর্তে টক দই, সিরকা টমেটো পিউরি, সাদা বা কালো গোল মরিচ ব্যবহার করা।
মজাদার খাবারতো সবাই ভালোবাসে। তবে স্বাস্থ্যকর ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রান্না সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল ।