কেন বই পড়ব?
বিশ্বের শতাধিক দেশে গত ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার পালিত হলো বিশ্ব বই দিবস। ইউনেসকো ঘোষিত এই দিবস মানুষকে বই পড়ায় উৎসাহিত করে। একই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে আনন্দের জন্য বই পড়ার সঙ্গে পরিচিত করে।
এবারের বিশ্ব বই দিবসকে সামনে করে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ড্রিমস অব ফ্রিডম নামে বই প্রকাশ করেছে। বইটিতে আছে মানব মুক্তির প্রতীক নেলসন ম্যান্ডেলা, দালাই লামা ও অং সান সু চির মতো বিশ্বনেতাদের বাণী। এর উদ্দেশ্য ছিল নতুন প্রজন্মকে মুক্তচিন্তায় উৎসাহিত করা।
তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিপ্লবের এই যুগে কেন এখনো বই পড়া গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশ্নে উত্তর খুঁজতে ও মানুষকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে ১২টি চিরন্তন বাণী তুলে ধরেছে ইনডিপেনডেন্ট। ১
পড়ার মতো সস্তা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী বিনোদন আর নেই। –মেরি ওয়ার্টলি মন্টেগু
২
পড়া হলো ওড়ার মতো : এই ওড়ার অবস্থানটা হয় এমন- যেখান থেকে সুবিস্তৃত ইতিহাস, মানুষের ভিন্নতা, ধারণা, অভিজ্ঞতা এবং অনেক অনুসন্ধানের ফল সম্পর্কে জানা যায়।–এ সি গ্রেলিং
৩
নিজে যত ব্যস্তই মনে করুন না কেন, আপনাকে বই পড়ার সময় বের করতে হবে, অথবা নিজেকে সঁপে দিতে হবে স্ব-নির্বাচিত অজ্ঞতায়।–কনফুসিয়াস।
৪
যতই পড়বেন, তত বেশি বিষয় আপনি জানবেন। যত বেশি আপনি জানবেন, তত বেশি স্থানে আপনি যাবেন।–ড. সিয়ুস
৫
সব পাঠকই নেতা নয়, কিন্তু সব নেতাই পাঠক।–হ্যারি এস ট্রুম্যান
৬
শরীরের জন্য যেমন ব্যায়াম, তেমনি মনের জন্য পড়া।–জোসেফ অ্যাডিসন
৭
বই হলো একটি স্বপ্ন, যা আপনি দুই হাতে ধরে রাখেন।–নিল গেইম্যান
৮
আপনি যখন কারো কাছে বই বিক্রি করেন, তখন সেটি শুধুই ১২ আউন্সের কাগজ, কালি ও আঠা নয়—আপনি তাঁর কাছে একটি নতুন জীবন বিক্রি করেন।–ক্রিস্টোফার মোর্লে
৯
সবচেয়ে শান্ত ও সব সময়ের বন্ধু হলো বই। এটি সবচেয়ে বিচক্ষণ উপদেষ্টা ও সবচেয়ে ধৈর্যশীল শিক্ষক।–চার্লস ডব্লিউ এলিয়ট
১০
বইয়ের আত্মার মধ্যে আমাদের প্রবেশ করতে দেয় এবং খুলে দেয় আমাদের যত গোপন।–উইলিয়াম হ্যাজলিট
১১
বই হলো কম্পাস, টেলিস্কোপ, সেক্সট্যান্ট ও চার্ট, যা অন্যরা বানিয়েছে আমাদের জীবন সাগর পাড়ি দিতে।–জেসি লি বেনেট
১২
বই হলো অবিরত তরলের উৎস। পাত্রে নিয়ে শতবার পানের পরও আরো পান করার মতো রয়ে যায়।–হলব্রুক জ্যাকসন।