আদর্শ সঙ্গীর ৬ গুণাবলী
সঙ্গী নির্বাচন করা একটি কঠিন কাজ। অনেক সময় আমরা বাইরের সৌন্দর্য দেখেই সঙ্গী বাছাই করে ফেলি। কিন্তু আদর্শ সঙ্গীর জন্য আপনার আরও কিছু গুন যাচাই করা উচিত। যদিও প্রেম-ভালবাসা বলে আসে না। এ সময় অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনা না করেই একটি গুরুতর সম্পর্কের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ি। যা পরে একটি ভুল সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রমাণিত হয়। তখনই আমরা হতাশয় ভুগি। ব্রেকআপের মুখোমুখি হই। তাই সঙ্গী নির্বাচন করার সময় একটু বিবেচনা করে নেওয়াই ভাল।
সম্মান
একজন আদর্শ সঙ্গী মানসিক, শারীরিক এবং যৌন সীমানাগুলো লংঘন করে না। সে আপনাকে সব সময় সম্মান করবে। তিনি কখনই আপনাকে চালনা করবেন না। এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না যা, আপনি চান না। আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলবন না। তিনি আপনাকে সবসময় সমর্থন করবেন। আপনার ইচ্ছা এবং অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল থাকবেন।
যোগাযোগ করার ইচ্ছা
জার্নাল অফ ম্যারেজ অ্যান্ড ফ্যামিলির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, যোগাযোগের স্তর বৈবাহিক সন্তুষ্টির পূর্বাভাস দেয়। যে দম্পতি যত ভাল যোগাযোগ করবে, তারা তত সুখী হবে। যেকোনো ব্যাপারে খোলামেলা ভাবে কথা বলতে সক্ষম হলে সম্মানজনক উপায়ে সমস্যা সমাধান করা যায়। ইচ্ছা, চাহিদা, লক্ষ্য, স্বপ্ন সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য থাকলে তা কথা বলে সমাধান করা উচিত। সঙ্গী যদি বসে কথা বলার পরিবর্তে চলে যেতে চান তবে এটি একটি খারাপ লক্ষণ।
সহমর্মিতা
একজন সহানুভূতিশীল সঙ্গী আপনার অনুভব বোঝার চেষ্টা করে। আপনার অনুভুতি অনুযায়ী কাজ করতে চান। এই সহামর্মিতাই একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। সঙ্গীর প্রতি প্রশংসা করার ক্ষমতাও দেয়।
হাস্যরসের বোধ
দুইজনের মাঝে হাস্যরসের বোধ থাকা অনেক জরুরি। তারা দৈনন্দিন পরিস্থিতিতে হাসতে পারে। এ ধরণের সঙ্গীরা প্রফুল্ল মনোভাবের সাথে উত্তেজনার মুহূর্ত থেকে মুক্তি দিতে পারে। তারা আপনাকে হাসিয়ে আপনার মানসিক অবস্থা সুস্থ রাখার চেষ্টা করে।
আপনি যেমন আছেন ঠিক সেভাবেই আপনাকে ভালোবাসেন
আপনি যেভাবে আছেন যেভাবেই সে আপনাকে গ্রহণ করবে। পরিবর্তন হতে বললে আগে থেকেই সাবধান থাকুন। যে আপনাকে ভালবাসবে তার কাছে আপনার প্রতিটি জিনিসই হবে আকর্ষণীয়। তিনি আপনার সব কিছুতেই মুগ্ধ হবেন। এতে আপনারও আত্ন-বিশ্বাস বাড়বে।
মানসিক পরিপক্বতা
একজন মানসিক ভাবে পরিপক্ক সঙ্গী আপনাকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করবে। আপনার সব কাজে সমর্থন করবে। আপনি ভুল পথ বেছে নিলে আপনাকে সাবধান করবে।
সূত্র- হার বিউটি