কেন মহাসাগর দিবস পালন করা হয়? কী তাৎপর্য এই দিনটির
এই পৃথিবীর প্রায় ৭০ ভাগ পানি। যদিও তার মধ্যে খুব কমই পানযোগ্য পানি। তবে পৃথিবীর বেশিরভাগ পানির উৎস হলো মহাসাগর। প্রত্যেকেই জানে, পৃথিবী তৈরি হয়েছে চারটি মহাসাগরকে নিয়ে। এই বিশাল মহাসাগরের সংরক্ষণের গুরুত্ব সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পালন করা হয় বিশ্ব মহাসাগর দিবস। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
প্রতি বছর ৮ জুন পালন করা হয় বিশ্ব মহাসাগর দিবস। চলতি বছরে এই দিনটি শনিবার পালন করা হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- গ্রহ মহাসাগর: জোয়ার পরিবর্তন হচ্ছে (Planet Ocean: Tides Are Changing)।
দিবসটির ইতিহাস
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ১৯৯২-এ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোয় প্রকৃতি ও উন্নয়ন নিয়ে তাদের একটি কনফারেন্স হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর নানা দেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব মহাসাগর দিবস। ২০০৮-এ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ঠিক করে, ২০০৯-এর ৮ জুন দিনটি বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তারা। এরপর থেকে বিশ্ববাসী ৮ জুন বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
বিশ্ব মহাসাগর দিবসের তাৎপর্য
পৃথিবীর অর্ধেক অক্সিজেন সরবরাহ করে মহাসাগরগুলো। সমুদ্রের পানিকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই পালন করা হয় এই দিনটি। এই দিনটি পালন করার তাৎপর্য হলো মহাসাগরগুলোকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাতে মহাসাগরে থাকা জীবজগৎ সঠিকভাবে বাঁচতে পারে। শুধু তাই নয়, মহাসাগরগুলোকে কেন্দ্র করে যে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থানে, তারও বিকাশে যেন সঠিকভাবে হয়, সেদিকেও নজর রাখা।
যেভাবে পালন করতে পারেন এই দিনটি
মহাসাগর দিবস উপলক্ষে আপনি প্রত্যেক মানুষের মধ্যে পৃথিবীতে সাগরের অস্তিত্বের লাভজনক দিক তুলে ধরতে পারেন। শুধু তাই নয়, পরিবেশ দূষণের ফলে মহাসাগরের পানির কতটা ক্ষতি হচ্ছে সেটাও সকলের সামনে তুলে ধরতে পারেন আপনি। এই পৃথিবীতে মানুষের বসবাস করার জন্য উদ্ভিদ জগতের যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনি প্রয়োজন পৃথিবীর চারটি মহাসাগরের। মহাসাগরের গুরুত্ব যে কতটা অপরিসীম, তা বোঝানোর মাধ্যমেই আপনি পালন করতে পারেন বিশ্ব মহাসাগর দিবস।