নেতিবাচক মনোভাবের মানুষ চেনার ৭ কৌশল
অনেকে মানসিক চাপে ভোগে থাকেন। তাই সব সময়ে হাসিখুশি থাকতে সব ধরনের মানুষকে নিজের জীবনে প্রশ্রয় না দেওয়াই ভাল। এমন কিছু মানুষ আপনার চারপাশে ঘোরাফেরা করছেন, যাদের মানসিকতা সব সময় নেতিবাচক। এই ধরনের মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভাল। মনে হতেই পারে, তেমন মানুষজনকে চিনবেন কীভাবে? তার কিছু উপায় আছে। কয়েকটি চরিত্রগত ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য দেখে সহজেই চিহ্নিত করা যায়।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষজনকে চিনবেন কীভাবে?
অযৌক্তিক সমালোচনা
ভারতীয় মনোবিজ্ঞানী অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, এমন কিছু মানুষজন আছেন, যারা সব সময় একপেশে বিচারবুদ্ধি নিয়ে চলেন। নিজের মানসিকতাকেই জাহির করার চেষ্টা করেন। এরা যে কোনো বিষয়েই সমালোচনা করতে ভালবাসেন। সমালোচনা ভাল তখনই, যখন সেটা যুক্তিগ্রাহ্য। কিন্তু ভাল হোক বা মন্দ— সব কাজেই অনাবশ্যক খুঁত ধরে বেড়ান যারা, তাদের এড়িয়ে চলাই ভাল।
ঝুড়ি ঝুড়ি অভিযোগ
ছোটখাটো ব্যাপারেও যারা অভিযোগ করেন, তাদের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভাল। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা কোনো ব্যাপারেই সন্তুষ্ট নন। এদের সান্নিধ্য মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অতিরিক্ত অলস
অলস প্রকৃতির মানুষদের কাছে ঘেঁষতে দেবেন না। মনোবিজ্ঞানীর কথায়, এই ধরনের মানুষ কখনোই কোনো কাজে উৎসাহ দেখান না। তাদের বিমর্ষ মুখ চারপাশের মানুষজনের উপরেও প্রভাব ফেলে। এই সঙ্গে পড়লে কিছুদিন পর দেখা যাবে, আপনিও কোনো কাজে উৎসাহ পাচ্ছেন না।
অহঙ্কারী ও স্বার্থপর মানসিকতা
অহঙ্কারী ও স্বার্থপর মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করাই ভাল। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন বা সহকর্মী— কথায় কথায় যদি কেউ আপনাকে ছোট করেন, আপনার সব কাজে ভুল ধরেন ও সমালোচনা করেন, স্বার্থপর মনোভাব নিয়ে চলেন, তাহলে তাদের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভাল।
বিদ্বেষপরায়ণ
বিদ্বেষপরায়ণ সহকর্মী বা বন্ধুর সঙ্গ ঐ আর কি আগের জিনিষই। বহু মানুষের সামনে দেখান যে, তারা আপনার কত শুভাকাঙ্ক্ষী, কিন্তু আড়ালে আপনারই ক্ষতি করার চেষ্টা করতে থাকেন। দেখবেন, এমন মানুষরা সর্বদা আপনার খুঁত ধরবেন। আপনার প্রতিটা কথায় ব্যঙ্গ করবেন। প্রশংসা তাদের মুখে আসবেই না। যতই ভাল কাজ করুন অথবা তাদের উপকারও করুন না কেন, আপনার প্রশংসা কখনোই করবেন না তারা। এমনকি, কৃতজ্ঞতাও জানাবেন না। এদের থেকে সাবধান।
পরনিন্দা-পরচর্চা
আপনি কি এমন কারও সঙ্গে মিশছেন, যারা খুবই পরনিন্দা করেন? ভুলেও এদের ফাঁদে পা দেবেন না। এই ধরনের মানুষজন চূড়ান্ত নেতিবাচক। আপনাকে বিপদে ফেলতে পারেন।
লক্ষ্যহীন বন্ধু
এমন মানুষজনের সঙ্গ ত্যাগ করুন, যাদের জীবনে কোনও লক্ষ্যই নেই। ছন্নছাড়া জীবন কাটান। কোনও কাজই লক্ষ্য নিয়ে করেন না। জীবনে উন্নতি করার কোনও আগ্রহই নেই। এমন সঙ্গ চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।