পাবনায় গোলাগুলিতে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত
পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ইয়াসিন আলী (৫০) নামের আনারস প্রতীকের এক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। আজ শনিবার ভোরে এ সংঘর্ষ ঘটে। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পাবনা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি, বাড়িঘর ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসিনসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ইয়াসিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে মৃত্যু হয় তাঁর। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান খান অভিযোগ করেন, ‘আজ শনিবার ভোরে ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদী গ্রামে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাইদ খানের সমর্থক সন্ত্রাসীরা আমার সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিফাত আলী বিশ্বাসের বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং আমার পক্ষে নির্বাচনের মাঠে নামলে সবাইকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়।’
সুলতান খান আরও অভিযোগ করেন, ‘সাইদ খানের সন্ত্রাসীরা খালেক মেম্বার, হেলাল ও কোরবানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ করে। পরে, সকাল ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশের সামনেই আবু সাইদ খানের নেতৃত্বে তাঁর সন্ত্রাসীবাহিনী আমার সমর্থকদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আমার চাচাতো ভাই ইয়াসিন গুরুতর আহত হন। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাইদ খানের দাবি, ‘দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সুলতান তাঁর চাচাতো ভাইকে হত্যা করে আমার বিরুদ্ধে দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন।’