স্পেনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীলদের জয়
স্পেনের রোববারের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল পপুলার পার্টি জয়ী হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ৯০ শতাংশ ভোট গণনার ফলাফলে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে পপুলার পার্টি নির্বাচনে জয়লাভ করলেও পার্লামেন্টের ৩৫০টির মধ্যে ১২২টি আসনে জয়ী দলটি হারাচ্ছে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
দেশটির ইতিহাসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে ২২ দশমিক ১৯ শতাংশ ভোট পেয়ে সোশ্যালিস্ট পার্টি ৯২টি আসনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।
নবগঠিত ব্যয়সংকোচনবিরোধী পোডেমস পার্টি ও শরিক দল জয়ী হয়েছে ৬৮টি আসনে। স্পেনে সাধারণ নির্বাচনে রোববার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং রাত ৮টা পর্যন্ত চলে।
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১৭৬টি আসন কোনো দল না পাওয়ায় সরকার গঠনে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
পপুলার পার্টিসহ দুই বা ততোধিক দলের সমন্বয়ে জোট সরকার গঠনের মাধ্যমে এ জটিলতা নিরসন হতে পারে বলে এএফপির খবরে বলা হয়।
স্পেনের কাতালোনিয়া অঞ্চলের স্বাধীনতা নিয়ে গণভোট প্রস্তাবের তীব্র বিরোধী ছিলেন পপুলার পার্টির মারিয়ানো রাহয়।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনে সোশ্যালিস্ট পার্টিকে হারিয়ে ক্ষমতায় বসেন পপুলার পার্টির মারিয়ানো রাহয়। সে সময় দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক সংকটকে পুঁজি করে তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
গত চার বছরে কঠিন ব্যয়সংকোচন ও শ্রমব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে স্পেন এখন কাগজে-কলমে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে দেশটিতে বর্তমানে বেকারত্বের হার ২১ শতাংশের বেশি।
গত বুধবার গালিসিয়া অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় স্পেনের প্রধানমন্ত্রী রাহয়কে সজোরে ঘুষি মারে এক কিশোর। এতে তাঁর চোখের চশমা ভেঙে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঘটনা অবশ্যই অনাকাঙ্ক্ষিত, তবে তা প্রমাণ করে, সাধারণ জনগণ পুরোনো নেতৃত্বের ওপর ভীষণভাবে বিরক্ত আর তারা বিকল্প চায়।
স্পেনের বর্তমান অর্থনীতিই ভোটারদের সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ। ব্যয়সংকোচন ও দুর্নীতির কারণে অনেক ভোটারই ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাহয় প্রশাসন এবং পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টি—উভয়কেই এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হয়।