কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যা মামলার চার আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এসএসসি পরীক্ষার্থী ইখতেখার হাসান ইমন হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দাউদকান্দির পিপইয়াকান্দি গ্রামের মো. নাছির উদ্দিন (৪০), একই এলাকাল ইয়াসিন (২২) ও হৃদয় (২৩) এবং নারিকেলতলার মাঈন উদ্দিন (১৮)।
নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী ইখতেখার হাসান ইমন (১৮) কুমিল্লার দাউদকান্দির পিপইয়াকান্দি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
র্যাব-১১-এর কুমিল্লার উপপরিচালক কোম্পানি কমান্ডার মো. সাকিব হোসেন জানান, ইখতেখার হাসান ইমনের সঙ্গে একই এলাকার নাছির উদ্দিন ওরফে মুরগা নাছির ও তার সহযোগীদের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২০ ডিসেম্বর দাউদকান্দির মোহাম্মদপুর (পশ্চিম) ইউনিয়নের মালাখালা গ্রামের নারিকেলতলা নূরানী মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার জন্য বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন ইমন। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার কিছু পরে ওয়াজ মাহফিলস্থলে এলে আসামি মো. নাছির উদ্দিন তাকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি তার সব সহযোগীদের একত্রিত করে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরপর তারা ইমনের ওপর হামলা চালায়। আসামি নাছির সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে পেছন থেকে ভিকটিম ইমনকে আঘাত করেন। এতে গুরুতর জখম হন তিনি। এ সময় অন্য আসামিরা উপর্যুপরি আঘাত করে ফেলে রেখে যায়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত ইমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে ইমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন গত সোমবার রাত ১০টায় ইমন মারা যান।
এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর ইমনের চাচা জামাল বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় ১২ জন নামে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় র্যাব-১১ দ্রুত তদন্ত শুরু করে। গতকাল বুধবার ভোর থেকে দিনব্যাপী জেলার দাউদকান্দিতে অভিযান চালিয়ে আসামি মো. নাছির উদ্দিন ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।