দলীয় প্রতীকহীন ইউপি নির্বাচন : মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে প্রচারণার অভিযোগ
আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। এ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে কাউকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়নি। জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা। তবে ৭নং কসবা পশ্চিম ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুর রহমান মানিক নিজেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের পছন্দের প্রার্থী উল্লেখ করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার আকছিনা পূর্বপাড়া কসবা ওয়েস্ট পাবলিক স্কুল মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এই দাবি করে প্রচারণা চালান এবং নিজের পক্ষে ভোট চান।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলে মন্ত্রীর জয়, আর পরাজিত হলে মন্ত্রী কষ্ট পাবেন। কারণ তিনি আমাকে সন্তানের মতো ভালোবাসেন। মন্ত্রী অন্য ইউনিয়নের আর কাউকে নিয়ে কিছু বলেননি। কেবল এই ইউনিয়ন থেকে আমার কথা বলেছেন। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভুইয়া জীবন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কসবা পৌরসভার মেয়র এম জি হাক্কানি, রুহুল আমিন ভুইয়া বকুল প্রমুখ।
এদিকে দলীয় প্রতীক ছাড়া উন্মুক্ত নির্বাচনে একজন প্রার্থী নিজেকে মন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থী উল্লেখ করে প্রচার চালানোয় অন্য প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া চলমান করোনা সংকট বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা তোয়াক্কা না করে হাজারও মানুষের সমাগম ঘটিয়ে সভা করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আবু ইউসুফ ভুইয়া মাস্টার বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মন্ত্রীর কথা বলে মাঠে-ঘাটে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এতে মন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে আমি মনে করি। কারণ মন্ত্রী আমাদের বলেছেন, ‘এই নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। যদি কেউ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ছাড়া স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানায়, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মানিক মিয়া নিজেকে মন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থী বলে প্রচারণা চালালেও এ বিষয়ে মন্ত্রীর কাছ থেকে তারা কোনো নির্দেশনা পায়নি। এটি একটি অপপ্রচার।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুর রহমান মানিক বলেন, আইনমন্ত্রী আমাকে অনেক স্নেহ করেন। সম্প্রতি তিনি একটি অনুষ্ঠানে আমাকে ভালো উল্লেখ করে আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের বলেছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুর রহমান মানিক মন্ত্রীর ঘোষিত প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।