জুবিলী ব্যাংকের অবসায়ক শামসুদ্দিন চৌধুরী
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জুবিলী ব্যাংকের অফিশিয়াল লিক্যুইডিটর (অবসায়ক) হিসেবে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়।
আদেশে আদালত আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে ‘দ্য অফিশিয়াল লিক্যুইডিটর’ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ কাজের জন্য তাঁকে প্রতি মাসে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফারিয়া হককে অতিরিক্ত অবসায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফি হিসেবে তিনি পাবেন প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নয় মাসের মধ্যে তাঁদের এ ব্যাংকের বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টায় সব কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে।
১৯১৩ সালের ১৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার জানিপুরে ‘খোকসা জানিপুর জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ নামে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাংকটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা শুরু করে। এ ব্যাংকটি ১৯৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি নাম পরিবর্তন করে হয় ‘জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ (তফসিলি পাঁচটি ব্যাংক)।
বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুর কয়েক খুনি জুবিলী ব্যাংকের মালিকানায় ছিলেন। গত কয়েক বছরে ব্যাংকটি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকটির অবসায়নে হাইকোর্টে আবেদন করে।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব-উল আলম ও কাজী এরশাদুল আলম। অবসায়কের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল ওহাব এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম বদরুদ্দোজা।
আজ বৃহস্পতিবার আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম জানান, মূলধনের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধান মানা হয়নি। এ কারণে অবসায়ন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আদালতের আদেশে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।