ফেসবুকে পরিচয়ের পর ‘যুবক অপহরণচক্রের’ দুই নারী আটক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসূত্রে পরিচয়। পরিচয় থেকে একসময় প্রেমের সম্পর্ক। তারপর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন সোলায়মান হক। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে যুবক অপহরণচক্রের দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় সোলায়মানকেও উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শ্যামলেন্দু ঘোষ। আটক দুজনের মধ্যে একজন সোলায়মানের প্রতারক প্রেমিকা লিপি বেগম ও তাঁর ছোট বোন সীমা বেগম। তাঁদের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার বড়খাতা গ্রামে।
শ্যামলেন্দু ঘোষ জানান, গতকাল শাহরিয়ার রুবেল কলার নামে এক যুবক ৯৯৯-এ কল করে জানান, তাঁর বন্ধু সোলায়মান বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অপহৃত হয়েছেন। তাঁর বন্ধু আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকায় গিয়েছিলেন বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে। পরে বন্ধুর ফোন থেকে তাঁকে কল করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। টাকা পাঠানোর জন্য তাঁকে একটি বিকাশ নাম্বার দেওয়া হয়। টাকা না পাঠালে বন্ধুকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, অপহরণ হওয়ার আগে সোলায়মান তাঁর বন্ধু শাহরিয়ারকে হোয়াটসঅ্যাপে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে অবস্থান (লোকেশন) জানিয়েছিলেন। সেই তথ্য অনুযায়ী, আশুলিয়া থানার বাইপাইল ন্যাশনাল ব্যাংকের পিছনে একটি ভবনে সোলায়মান আটক আছেন বলে জানা যায়।
শ্যামলেন্দু ঘোষ জানান, ৯৯৯-এ আসা কলটি রিসিভ করেন কনস্টেবল মো. রেজোয়ান মিয়া। তখনই তিনি আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি জানান।
পুলিশসূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। গিয়ে তাঁরা বাড়িটি চিহ্নিত করেন। পরে গাজীরচটে তাহের পাটোয়ারির ‘কুসুম ভিলা’ থেকে ভুক্তভোগী সোলায়মানকে উদ্ধার করা হয়।
এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে সোলায়মান ও আটক লিপি বেগমের পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্রে সোলায়মান প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
পুলিশ জানায়, এ সময় দুই অপহরণকারী নারীকে আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তাঁদের দুই পুরুষ সহযোগী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।