দুই বছরের মধ্যেই রাস্তায় নামবে চালকবিহীন গাড়ি
মোটরগাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সবাই কমবেশি চালকবিহীন বা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নির্মাণের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। মাত্র কয়েক বছর আগেও যে প্রযুক্তিকে শুধু কল্পবিজ্ঞানের কাহিনী মনে হতো, এখন তা সারা বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়। তবে কবে নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত হবে স্বয়ংক্রিয় এসব গাড়ি?
মোটামুটি ডজনখানেক মোটরগাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জোরেশোরে তাদের চালকবিহীন গাড়ির প্রকল্প চালালেও নিশ্চিত করে কেউ সে তথ্য জানাতে পারেনি। এবার সে সম্পর্কে মুখ খুললেন অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান টেসলারের প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক। তিনি বললেন, ‘আমরা মাত্র দুই বছর পিছিয়ে আছি এমন ঘটনা থেকে।’ এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল।
ফরচুন ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এবং আমি মনে করি, আগামী দুই বছরের মধ্যেই আমরা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নির্মাণ শেষ করতে পারব।’
এলন মাস্ক আরো বলেন, ‘এ ধরনের প্রযুক্তি এখনই আমাদের কাছে রয়েছে, তবে বিভিন্ন পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য এ প্রযুক্তির আরো বেশি উন্নতির জায়গা রয়েছে। তবে এই সময়কালের হেরফেরের আশঙ্কা রয়েছে আইনকানুনের প্রয়োগ-সংক্রান্ত জটিলতায়।’
তবে এলন মাস্ক দুই বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তিকে আলোর মুখ দেখাতে বদ্ধপরিকর। তাঁর মতে, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নিয়ে সব সমস্যার সমাধানে খুব বেশি হ্যাপা সামলাতে হবে না তাঁদের ইঞ্জিনিয়ার-প্রোগ্রামারদের। তাঁর ভাষায়, এটি এমন নয় যে জর্জ হটজের মতো একজন মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য তিন মাস বরাদ্দ নয়; বরং হাজারো মানুষের দুই বছর সময়কালের সমস্যা।
যাঁরা জর্জ হটজের সঙ্গে পরিচিত নন, তাঁদের জানিয়ে রাখা ভালো যে জর্জ হাটজ একজন হ্যাকার, যিনি তাঁর গ্যারেজে বসে একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নির্মাণ করেন।
তবে অন্যান্য গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলন মাস্কের এমন দৃঢ় মনোভাব নিয়ে বেশ চিন্তিত। ভলভো কিংবা জাগুয়ারের মতো গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তাই টেসলার প্রযুক্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। বিশেষত, জাগুয়ারের এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, টেসলার ত্রুটিপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় গাড়ি যদি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তবে এ প্রযুক্তির বাস্তবায়ন অন্তত এক দশক পিছিয়ে যেতে পারে।