মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরিতে পরিত্যক্ত প্রথম টি-টোয়েন্টি
ডোমিনিকায় দিনভর চলল মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি। সেই সঙ্গে যোগ হলো উইন্ডসর পার্কে বাজে আউটফিল্ড। সব মিলিয়ে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১৪ ওভারে নামিয়ে আনলেও শেষ করা সম্ভব হলো না। বারবার অপেক্ষার পর শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ২০ মিনিটে পরিত্যক্ত হলো তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
এই মেঘ-বৃষ্টির মধ্যেই খেলা মাঠে গড়াল ১৩ ওভার। এই সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে দেখা গেল সেই ব্যর্থতার চিত্র। উইকেটে সবার ছিল আসা-যাওয়ার তাড়া। ত্রিশের ঘরেও যেতে পারেননি কেউ। এর মধ্যে সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের কল্যানে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে কোনো ১০০ ছাড়ায় বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৩ ওভারে ১০৫ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছেন সাকিব আল হাসান।
ডোমিনিকার উইন্ডসর পার্কে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই বিদায় নেন মুনিম শাহরিয়ার (২)। আকিল হোসেনের বলে ড্রাইভ করার চেষ্টায় উইকেটকিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন এই তরুণ ওপেনার।
এরপর ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দারুণ কিছুর আভাস দেন সাত বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ফেরা এনামুল হক বিজয়। কিন্তু পারলেন না থিতু হতে। বাঁহাতি পেসার ম্যাককয়ের বল শাফল করে লেগে খেলার চেষ্টা করেন এনামুল। বলের লাইনে যেতে পারেননি। উল্টো এলবির ফাঁদে পড়ে ১৬ রানে বিদায় নেন এই ওপেনার।
উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি লিটন দাসও। রোমারিও শেফার্ডের বাউন্সারে বল উঁচুতে তুলে দেন লিটন। মিডউইকেটে ক্যাচ লুফে নিয়ে ৯ রানে তাঁকে সাজঘরের পথ দেখান নিকোলাস পুরান।
একের পর এক উইকেট হারানোর পরও শুরুর দিকে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব আল হাসান। তাঁর ব্যাটে চড়ে পাওয়ার প্লেতে ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৪৬ রান তোলে বাংলাদেশ।
কিন্তু এরপরেই সাকিবকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের বল মোকাবিলা করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। দুটি করে ছক্কা-চারে ১৫ বলে ২৯ রান করে ফেরেন সাকিব।
সাকিব ফেরার পর বৃষ্টি নামে ডোমিনিকায়। ম্যাচ বন্ধ থাকে আরো ৩৪ মিনিট। তাতে ম্যাচের দুই ওভার কমে নামে ১৪ তে। বৃষ্টির পর ব্যাট করতে নেমে শুধু হতাশাই দেখেছে বাংলাদেশ। একে একে বিদায় নিয়েছেন আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসানরা।
শেষ দিকে বাকিদের নিয়ে কোনো মতে বাংলাদেশকে ১০৫ রানের পুঁজি এনে দেন নুরুল হাসান সোহান। ব্যাট হাতে ১৬ বলে ২৫ রান করে ফেরেন তিনি। সোহান ফিরলে ফের বৃষ্টি নামে। তখন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের সঙ্গে কথা বলে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল হাতে ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন শেফার্ড। ২৪ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন ওয়ালশ। ম্যাকময়, স্মিথ ও আকিল হোসেন নেন একটি করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ১০৫/৮ (মুনিম ২, এনামুল ১৬, সাকিব ২৯, লিটন ৯, মাহমুদউল্লাহ ৮, আফিফ ০, সোহান ২৫, মেহেদি ১, নাসুম ৭*, শরিফুল ০*; আকিল ৩-০-২২-১, শেফার্ড ৩-০-২১-৩, ম্যাককয় ২-০-১৬-১, স্মিথ ২-০-২২-১, ওয়ালশ জুনিয়র ৩-০-২৪-২)।