প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে ভোটগ্রহণ শুরু
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যে আজ বুধবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচিত এ নেতা সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের স্থলাভিষিক্ত হবেন। গোটাবায়া বিক্ষোভের মুখে গত সপ্তাহে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। পরে ইমেইলে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠান।
পার্লামেন্টের সেক্রেটারি জেনারেল ধাম্মিকা দাসানায়েক কোরাম বেল বাজানোর পর গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পার্লামেন্টের ২২৫ জন আইনপ্রণেতা তিন জন প্রার্থীর মধ্য থেকে দেশটির ভবিষ্যৎ নেতা নির্বাচন করছেন।
তিন প্রার্থী হলেন—অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ক্ষমতাসীন দলের ডুলাস আলাহাপেরুমা এবং বামপন্থি জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) দলের অনুর কুমার দিসানায়েক। খবর বিবিসির।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত গোটাবায়া রাজাপাকসের উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থনৈতিক সংকটের ফলে সৃষ্ট ক্ষোভে গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
গোটাবায়া পালিয়ে যাওয়ার আগে রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট করে যান। এর আগে তাঁর ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলে তিনিই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করে যান। গোটাবায়ার দল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রনিল বিক্রমাসিংহেকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন ডুলাস আলাহাপেরুমা। ৬৩ বছর বয়স্ক ডুলাস কট্টর বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী।
তবে, তাঁর রয়েছে পরিচ্ছন্ন ইমেজ। তিনি ক্ষমতাসীন দল এসএলপিপি’র মন্ত্রী ছিলেন। পরে পদত্যাগ করেন। তাঁর দলের অনেকের সমর্থন তিনি পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে অপর প্রার্থী হচ্ছেন অনুর কুমার দিসানায়েক। তাঁর জয়ের সম্ভাবনা কম থাকলেও তিনি ভিন্ন সমীকরণ তৈরি করতে পারেন।
শ্রীলঙ্কায় ১৯৭৮ সালের পর এই প্রথম পার্লামেন্টের মাধ্যমে নির্বাচন হচ্ছে। এর আগে ১৯৮২, ১৯৮৮, ১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৫, ২০১০, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।