বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণন কোম্পানির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিভিওআরভিএমএ) ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব যৌক্তিক কি না এ ব্যাপারে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে ট্যারিফ কমিশন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। কিন্তু, আমাদের দেশে ডলারের রেট বেশি এবং এ কারণে তেলের দাম কমার কারণে আমরা যে সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল তা পাচ্ছি না। তবে, ট্যারিফ কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’
সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর ব্যবসায়ীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়।’ প্রতিবেশি দেশগুলোর দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান ডিজেলের দাম বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে সরকার এখনও প্রতি লিটারে ৮ টাকা লোকসান গুণছে।’
ডলারের দাম দ্রুত বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সমিতি।
সমিতির দাবি পূরণ হলে ভোজ্য তেলের দাম প্রতি লিটার ১৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ টাকা হবে, খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৬৬ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা হবে এবং পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি করা হবে ৯৬০ টাকায়; যা বর্তমান দাম থেকে ৫০ টাকা বেশি।