ভালো ফল পেতে সময় চাইছেন ক্রিকেটাররা
ক্রিকেটে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। টেস্ট, টি-টোয়েন্টি থেকে নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে—সবগুলোতেই অবস্থা হতাশাজনক। এই হতাশাকে সঙ্গে নিয়েই সামনে এশিয়া কাপ খেলতে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সামনে আছে বিশ্বকাপও। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতেই আপাতত বেশি ফোকাস বাংলাদেশ দলের।
সে জন্য দলে বেশ অদল-বদল এসেছে। পরিবর্তন এসেছে নেতৃত্বে। মাহমুদউল্লাহকে সরিয়ে অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। কোচিং স্টাফেও এসেছে পরিবর্তন। বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের দেখভাল করার জন্য মোটা টাকায় উড়িয়ে আনা হয়েছে সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার শ্রীধরন শ্রীরামকে। যিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্টের দায়িত্ব পেয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে নতুন মোড়কে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল।
এতে সাফল্য পাওয়ার আশা দেখছেন ক্রিকেটাররা। তবে এর জন্য সময় চান তাঁরা। দলের প্রতিনিধি হয়ে আজ রোববার সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত তেমনটাই জানালেন।
প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সামনে সৈকত বলেছেন, 'পাওয়ার হিটিং বলতে আমরা সবাই যেটা বুঝতে পারি সেটা ছয় মারার সক্ষমতা। সেটাই হয়তো সবাই করার চেষ্টা করছে। আজকের ম্যাচে সেই আবহটা ছিল। সবাই মারতে চায়, এমন মনোভাবই ছিল। সেটার প্র্যাকটিসটাই আজকে করার চেষ্টা করেছি। একদিনে হয়তো আপনি খুব বেশি উন্নতি পাবেন না। এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। সময় দিলে এখান থেকে আমরা ভালো ফলাফল পাবো। এটার জন্য আমাদের সবাইকেই সময় দিতে হবে।'
এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, 'আমি আর সাকিব যখন ব্যাটিং করেছিলাম তখন সাকিব ভাই বলেছিল, শেষ চার ওভারে চারটা ছয় হলেই হবে। ঐ জায়গায় পাঁচটা ছয় হয়েছে এটা একটা ভালো দিক। সাকিব ভাইয়ের সাথে যখন ব্যাটিং করি, সাকিব ভাই সবসময়ই অনেক বেশি হেল্প করে। এবং সে সিচুয়েশনগুলো বোঝানোর চেষ্টা করে। এখন কি হতে পারে বা কি করল ভালো। সাকিব ভাইয়ের সাথে সবারই টুকটাক কথা হয়েছে। আমি আমারটা জানি, বাকিদেরটা তাদের সাথে কিভাবে কথা হয়েছে সেটা আমি জানি না। কিন্তু আমারটা তো বললাম। সাকিব ভাই যে পরিকল্পনাটা দিয়েছে সবাইকে, সেই জায়গা থেকে অবশ্যই এটা পজিটিভ মনে হচ্ছে। এটার ধারাবাহিকতা যদি আমরা ধরে রাখি তাহলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খুবই উপকার হবে।'