পাকিস্তানের স্কুলে হামলার হুমকি তালেবানের
পাকিস্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার হুমকি দিয়েছেন জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানের কমান্ডার উমর মনসুর। গত বুধবার কমান্ডার বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরো হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ভিডিওতে হুঁশিয়ারি দিয়ে তালেবান কমান্ডার বলেন, ‘এসব স্কুল আল্লাহর আইন চ্যালেঞ্জ করার মতো মানুষ তৈরি করছে। তাই আমরা এখন ক্যান্টনমেন্টে সেনা হত্যা করব না, আদালতে আইনজীবী কিংবা পার্লামেন্টে রাজনীতিবিদ হত্যা করব না। বরং যে স্থান থেকে তারা গড়ে ওঠে, যেটা তাদের ভিত্তি, সেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা হামলা চালাব।’
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এর আগে ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারে একটি স্কুলে হামলার পরও মনসুর একই ধরনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। তখনো তিনি বলেছিলেন, স্কুলও জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার ও মেজর তৈরি করছে, যারা ইসলামের পথের অনেক যোদ্ধাকে হত্যা ও গ্রেপ্তার করছে।
এদিকে ভিডিওটি প্রকাশের পরই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে খলিফা ওমর মনসুরের স্পষ্ট ছবি রয়েছে। এ ছাড়া চরসাদ্দায় হামলা চালানোর আগে গুলি চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গেছে তরুণ বয়সের চার হামলাকারীকেও। পাকিস্তান তালেবানে তাঁর নেতৃত্বাধীন অংশটি গত বুধবার বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
এ ভিডিও ফুটেজ তালেবান নেতৃত্বের মধ্যে বিভক্তির বিষয়টি নিয়ে নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা নিয়ে তালেবানের দুই নেতা এর আগে দুই রকম বক্তব্য দিয়েছেন।
হামলার পরপরই তেহরিক ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) কমান্ডার উমর মনসুর হামলার দায় স্বীকার করলেও দলটির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি এ হামলায় তাঁদের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেন।
খোরাসানি হামলার নিন্দা জানিয়ে একে ‘অনৈসলামিক’ বলেও বর্ণনা করেন। ওদিকে উমর মনসুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা সরকার এবং সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে। এ কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে হামলার লক্ষ্য করা হয়েছে।