কল্যাণপুরে জঙ্গি অভিযান : অভিযোগ গঠন ১৪ ডিসেম্বর
কল্যাণপুরের ‘জাহাজ বাড়ি’তে জঙ্গি অভিযানের পরে দায়েরকৃত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম সরোয়ার জাকির এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ আদালতে আসামিদের পক্ষে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ মামলায় আসামি মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুরের মৃত্যুর কারণে অভিযোগ গঠনের আদেশ হয়নি।
পিপি বলেন, আসামির মৃত্যুর বিষয়টি তার আইনজীবী আদালতকে লিখিতভাবে জানান। এরপর বিচারক পুনরায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ও আসামির মৃত্যু সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। এ মামলার আসামি ১০ জন। আসামিদের মধ্যে রিগ্যানসহ নয়জন কারাগারে আছেন। অপর আসামি আজাদুল কবিরাজ পলাতক রয়েছেন।’
মামলার আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ উদ্দিন কামরান (৩০), আবদুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মৃত মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আবদুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুল মেন (৩৩) ও হাদিসুর রহমান সাগর (৪০)।
এর মধ্যে রিগ্যান, আসলাম হোসেন র্যাশ, শরীফুল ইসলাম খালেদ, মামুনুর রশিদ রিপন, আবদুস সবুর খান ও হাদিসুর রহমান সাগর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। ‘জাহাজ বাড়ি’ মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাতে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের জাহাজ বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে নয়জন জঙ্গি মারা যান। হাসান নামের একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ, অপর একজন পালিয়ে যায়। তাঁরা সবাই নব্য জামা’আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর কল্যাণপুরে জঙ্গি হামলা মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। ওই ঘটনায় ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে মামলা করেন।