সুলতানা আহমেদের আটকের প্রতিবাদে রাজধানীতে মহিলা দলের বিক্ষোভ
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে আটকের প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মহিলা দল।
আজ রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি কাকরাইল নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে ফের সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
অন্যান্যের মধ্যে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেত্রী হেলেন জেরিন খান, শাম্মি আখতার, রুমা আক্তার, শামীমা রাহিম, শাহীনুর নার্গিসসহ অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ আটক সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবিতে স্লোগান দেন।
পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে র্যাব আটক করেছে। এই ঘটনা শুধু অমানবিকই নয়, একজন সম্মানিত নারী নেত্রীর প্রতি চরম অবমাননা এবং সরকারপ্রধানের ব্যক্তিগত ক্রোধ চরিতার্থ করার বর্ধিত প্রকাশ। দেশে শুধু বিরোধী দলীয় পুরুষ নেতাকর্মীরাই নয়, নারী নেত্রীরাও সরকারি আক্রোশ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। দেশে শিশু-বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ প্রত্যেকেই ভয়ানক ভয়ের পরিবেশের মধ্যে দিন যাপন করছে।’
রিজভী বলেন, ‘সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে সত্য উচ্চারণের কারণে যে কেউ মারাত্মক সরকারি জুলুমের মধ্যে পড়তে পারে। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ সেই জুলুমেরই শিকার হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই বন্দুকের নিশানা হওয়া।’
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘সরকার জুলুমের নানা ধরনের বৃত্ত রচনা করেছে। সুলতানা আহমেদকে তুলে নিয়ে কোন ‘আয়নাঘরের’ কয়েদখানায় রাখা হয়েছে সেটি আমরা কেউ জানি না। দুঃশাসনের জাল আষ্টেপৃষ্ঠে চারিদিক দিয়ে বেঁধে ফেলা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র যাতে ফিরে আসতে না পারে সে কারণে গভীর ভয়ের ঘেরাটোপে বাংলাদেশকে বন্দি করে রাখতে চাচ্ছেন শেখ হাসিনা। সবাইকে চুপ থাকতে হবে, কেউ যাতে নড়াচড়া করতে না পারে-এটাই শেখ হাসিনার নীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪ বছরের শাসনে সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়েছেন নারীরা।’
সুলতানা আহমেদকে আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর আহ্বান জানান রিজভী।