গুলি করে রিকশাচালক হত্যায় যুবলীগ নেতার নামে মামলা
পাবনার ঈশ্বরদীতে গুলি করে রিকশাচালক মামুনকে হত্যার ঘটনায় যুবলীগনেতা কামাল হোসেনসহ চারজনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তবে, এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, মামলায় ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামাল হোসেন, তার ভাই আনোয়ার হোসেনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন থেকে চারজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বুধবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় একটি ভটভটি ও লেগুনা গাড়ির মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় লেগুনাচালক ভটভটিচালকের কাছে জরিমানা দাবি করেন। এ নিয়ে দুই গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের শান্ত করে পাঠিয়ে দেয় এবং তাদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে নিষেধ করেন।
এর কিছুক্ষণ পর ১ নম্বর ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনের ভাই আনোয়ার হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং ভটভটিচালকের কাছ থেকে জরিমানা নিতে কেন বাধা দেওয়া হলো, এমন প্রশ্ন তুলে স্থানীয়দের ওপর চড়াও হন। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে মামুন ও রকিকে গুলি করে। আর তার সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।