কুলিয়ারচরে মৃত তিনজনের পাকস্থলীতে নেশাজাতীয় দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সন্দেহজনক মৃত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের পাকস্থলিতে নেশাজাতীয় দ্রব্যের অস্তিত্ব পেয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড। বাকি দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও দাহ করা হয়েছিল।
আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিষয়টি কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর আধুনিক হাসপাতালে আনা হয় বলে জানান ডা. মো. হেলাল উদ্দিন।
যাদের পাকস্থলিতে নেশাজাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে তারা হলেন—কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১ মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৭), সাংগঠনিক সম্পাদক-২ মো. জহির রায়হান জজ (৫৯) ও উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সংলগ্ন চা দোকানদার মো. লিটন মিয়া (৪৮)।
এছাড়া এ ঘটনায় মৃত রিকশাচালক শাহজাহান মিয়া (৫২) ও হোমিও চিকিৎসক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাসকে (৪৮) ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও দাহ করা হয়।
তিন মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মাকসুদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অন্য দুই সদস্যরা হলেন—কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সোহাগ ও ডা. রুম্মন।
উপপরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘নিহত তিনজনের ময়নাতদন্তের পর পাকস্থলিতে নেশাজাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা যায় অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা নেশাজাতীয় কোনো কিছু খেয়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে।’
এদিকে নেশাজাতীয় দ্রব্যে বিষক্রিয়ায় পাঁচজনের মৃত্যুর আলোচিত ঘটনার ধোঁয়াশা যেনো বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় আরও চারজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। তারা হলেন—মো. খোকন মিয়া, উজ্জ্বল দাস, মো. মহসিন মিয়া ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান।