বৈদ্যুতিক গাড়ি আনছে অ্যাস্টন মার্টিন
বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে অটোমোবাইল দুনিয়া এখন বেশ সরব। বিভিন্ন অটোমোবাইল কোম্পানি তুলে ধরছে তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে পরিকল্পনা কিংবা নিত্যনতুন গাড়ির মডেল। সে তালিকায় এবার নাম লেখাল ডাকসাইটে ব্রিটিশ অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান অ্যাস্টন মার্টিন। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক অনলাইন মাধ্যম ম্যাশেবল জানিয়েছে এ খবর।
গত বুধবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, চায়নিজ প্রতিষ্ঠান লেইকো ও অ্যাস্টন মার্টিন সম্মিলিতভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণে হাত দিয়েছে। ‘র্যাপিডই’ নামে নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য ক্রেতাদের খুব বেশি অপেক্ষাও করতে হবে না। ২০১৮ সালেই রাস্তায় নামতে পারে ‘র্যাপিডই’। শুধু বৈদ্যুতিকই নয়, অ্যাস্টন মার্টিনের র্যাপিডই মডেলের এই গাড়ি হবে ‘স্মার্ট’—এ তথ্যও জানানো হয়েছে।
তবে মোটে এই একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি বানিয়েই লেইকো আর অ্যাস্টন মার্টিন খালাস হয়ে যাবে, এমনটা ভাবলে ভুল করবেন কিন্তু! এ তো কেবল শুরু। তাদের সংবাদ বিবৃতি বলছে, ভবিষ্যতে নতুন প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে অ্যাস্টন মার্টিন, লেইকো ও ফ্যারাডে ফিউচারে একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা জোরদার। ফ্যারাডে ফিউচার ও অ্যাস্টন মার্টিনের যৌথ প্রয়াস যে বড় ধরনের চমক জাগাবে, তা তো নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না, নাকি!
অ্যাস্টন মার্টিনের যৌথ চুক্তিতে খুব বেশি অবাক হওয়ার কিছু নেই। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার ইলেকট্রিক শোতে তারা আভাস দিয়েছিল এই চুক্তির। সে প্রদর্শনীতে তারা হাজির হয়েছিল তাদের অটোলিংক র্যাপিড এস-মডেলের গাড়ি নিয়ে। সে মডেলের গাড়িতে ছিল ইন্টারনেট ব্যবহারের নানা অভিনব কায়দা। অন্যদিকে ফ্যারাডে ফিউচার তাদের বৈদ্যুতিক সুপারকার এফএফজিরো১ দিয়ে সবার টনক নড়িয়ে দিয়েছিল। যারা বোঝার মানুষ, তারা ঠিকই বুঝে গিয়েছিলেন—চমক একটা আসছে!
ইলন মাস্কের টেসলার দেখানো পথে এখন বড় সব অটোমোবাইল কোম্পানিই কমবেশি হাঁটছে। সেদিক থেকে ইলন মাস্ক এবং টেসলার গর্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। তবে এখন প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যাও বাড়ছে, এ নিয়েও হয়তো মাথা ঘামাতে হচ্ছে তাদের।