আইফোনের ‘আই’-এর অর্থ কী?
সারা বিশ্বে শোরগোল তুলে টেক জায়ান্ট অ্যাপল একের পর এক পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে সবার সামনে। আইম্যাক থেকে শুরু করে আইপড, আইফোন, আইপ্যাড কিংবা আইটিউনস। তাদের প্রতিটি পণ্যের শুরুতেই পাকাপোক্তভাবে ‘আই’ বর্ণটি জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু কখনো কী ভেবেছেন, এই ‘আই’-রহস্য কী? প্রযুক্তিবিষয়ক অনলাইন মাধ্যম ম্যাশেবল এই রহস্যের সমাধান দিচ্ছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাপলের ‘আই’ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক চলছে। ১৯৯৮ সালে স্টিভ জবস আইম্যাকের উন্মোচন অনুষ্ঠানে অবশ্য ‘আই’ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, আটপৌরে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার আর ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ—এই দুয়ে মিলে সৃষ্টি হয়েছে আইম্যাক।
১৯৯৮ সালে ‘আই’-শব্দের উৎস হিসেবে ইন্টারনেটকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল অ্যাপল। তবে আরো অনেক শব্দই পরে যুক্ত হয়েছে ‘আই’-এর উৎস হিসেবে। ‘ইনডিভিজুয়াল’, ‘ইন্সট্রাক্ট’, ‘ইনফর্ম’, ‘ইন্সপায়ার’-শব্দগুলোও অ্যাপলের ‘আই’-কে প্রতিনিধিত্ব করে।
‘আই’-যে শুধু ইন্টারনেটকেই বোঝায় না তার প্রমাণ পাওয়া যায় অ্যাপলের জনপ্রিয় গান শোনার ডিভাইস আইপডে। আইপডের প্রথমদিকের মডেলগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহারের কোনো সুযোগ রাখেনি তারা। এ থেকে এমনটাই মনে হয়, ‘আই’ কেবলই ইন্টারনেটের জন্য নয়!
তবে ২০০৭ সালে যখন অ্যাপল আইফোন বাজারে আনে, তখন ‘আই’-কে ইন্টারনেট হিসেবেই তারা চিহ্নিত করে। আইফোনের প্রধান তিনটি চাবিকাঠি হিসেবে ধরা হয় ইন্টারনেট, ফোনকল ও মিউজিক। এরপর থেকে অ্যাপলের প্রতিটি পণ্যেই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া গেছে। সেদিক থেকে এখন ‘আই’-এর তাৎপর্য আইম্যাক কিংবা আইফোনের মতো নেই।
অন্যদিকে অ্যাপল তাদের নতুন পণ্য থেকে ‘আই’ উপসর্গ ঝেড়ে ফেলতে শুরু করেছে। যেমন তাদের স্মার্ট ঘড়িকে ‘আইওয়াচ’ না বলে বরং ‘অ্যাপল ওয়াচ’ বলেই ডাকছে। একই ঘটনা ঘটেছে অ্যাপল মিউজিক কিংবা অ্যাপল টিভির ক্ষেত্রে। সবকিছুর পরও অ্যাপল পণ্যভক্তদের কাছে ‘আই’ এক অন্যরকম অনুভূতির সঞ্চার করে!
বুঝলেন তো, ‘আই’ মানে কিন্তু অনেক কিছু!