বিএনপিকর্মীকে ‘হত্যা’, পুলিশ বলছে ‘দুর্ঘটনা’
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় নিহত হয়েছেন বিএনপিকর্মী আলমগীর হোসেন। বিএনপি ও আলমগীরের স্বজনরা দাবি করেছেন, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন আলমগীর।
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে অর্থাৎ গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে চাটখিল-রামগঞ্জ সড়ক থেকে আলমগীরের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার পরকোর্ট ইউনিয়নের দশঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা।
চাটখিল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, নিহত আলমগীর বিএনপির একজন কর্মী।
আলমগীরের স্বজনরা দাবি করেন, ঘটনাস্থলে ছুরিকাঘাত করে আর চোখ উপড়ে আলমগীরকে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলমগীর ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে আজ রোববার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিহত আলমগীরের গলায় ছুরির দাগ আছে, চোখও উপড়ানো।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চাটখিল বাজারে শনিবার দিবাগত রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও আলমগীরের স্বজনরা। আজ রোববার চাটখিলের নয়টি ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন চাটখিলের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বিএনপির প্রতিবাদ
বিএনপিকর্মী আলমগীর হোসেনের নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভী দাবি করেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা আলমগীরকে হত্যা করেছে।
ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, ‘ঘটনার সময় আলমগীর হোসেন আগুন মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ছিলেন। এমতাবস্থায় আওয়ামী দুষ্কৃতকারীরা তাঁকে পেছন দিক থেকে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে।’
রিজভী আলমগীর হোসেনের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।