বঙ্গবন্ধু পরিবার দেশের জন্য আশীর্বাদ : উপমন্ত্রী শামীম
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ।’ আজ সোমবার (৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ব্যক্তি জীবনে কতটা নির্লোভ ও নিরহংকারী ছিলেন, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও তিনি ছিলেন সাদামাটা এক মানুষ। তার জীবন ও কর্মকে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জামাতা হয়েও অতি সাধারণ জীবনযাপন করেছেন তিনি।’
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া সারাজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং ড. ওয়াজেদ মিয়া-শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যের অহংকার। তিনি সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা সবাই স্ব-স্ব স্থানে প্রতিষ্ঠিত। তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।’
এনামুল হক শামীম বলেন, ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া রংপুরের পীরগঞ্জের একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর কাজ দিয়ে পীরগঞ্জের মানুষকে গর্বিত করেছেন। এমনকি, বহির্বিশ্বের কাছেও তিনি বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন তার বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে। তিনি নিভৃত এক পল্লী থেকে উঠে এসেছেন নিজের যোগ্যতায়। সব চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তিনি নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। পরবর্তী জীবনেও তিনি তাঁর সেই অবস্থান ধরে রেখেছেন।’
বিজ্ঞানের প্রতি ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ঝোঁক ছিল উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের মতো একটি কঠিন বিষয় বেছে নিয়েছেন। তিনি সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে দেশ ও দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বিষয় ভিত্তিক অনেক গ্রন্থ লিখে গেছেন। যা এখন বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পড়ানো হয়।’
‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একদিকে যেমন নিজের মেধার চর্চা করে নিজেকে পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তেমনি রাজনীতির প্রতিও তার একটি সুগভীর আগ্রহ ছিল’ উপমন্ত্রী শামীম বলেন, ‘তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাহবুব হোসেন ও সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান।