বরিশাল নদীবন্দরে দোতলা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এক পথশিশু কীর্তনখোলা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঘটনা ঘটে। 

লঞ্চঘাটের পথশিশু চাঁদনী জানায়, সে, সাথী, আসলাম ও জনি পল্টনের পাশে বসে ছিল। হঠাৎ করে পিছন থেকে নাইম এসে সাথী ও আসলামকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তারা নদীতে পড়ে যায়। পরে আসলাম সাঁতার কেটে উঠে আসে। কিন্তু সাথী সাঁতার জানে না তাই ডুবে যায়। পরে তারা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাকে বাঁচাবার চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে আর পাওয়া যায়নি।

আরেক পথশিশু আসলাম বলে, ‘আমরা পল্টনে বসে দুষ্টুমি করছিলাম। এ সময় পিছন থেকে কে যেন ধাক্কা দেয়। আমি ও সাতী নদীতে পড়ে যাই। পরে সাঁতার কেটে উপরে উঠি।’

নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া শিশুর নাম নাইম (১৩) বাবা অজ্ঞাত, ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা।

নিখোঁজ পথশিশু সাথী আক্তারের (১২) বাড়ি ঢাকা বলে জানা গেছে। সে বরিশাল নদীবন্দরে থাকত। 

সদর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জলিল বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে আমরা বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসকেস খবর দেই। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

বরিশাল নদীবন্দর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. এনামুল হক সুমন বলেন, ‘আমাদের  ফায়ার সার্ভিসের একটি দল শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।’