চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চোখ থাকবে যাদের ওপর
গোলের খেলা ফুটবল। দিন শেষে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় গোলই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে আজ রাতে মুখোমুখি হবে দুই ফাইনালিস্ট ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান। দুদলের সেরা দুই তারকা আর্লিং হল্যান্ড ও লাউতারো মার্টিনেজের দিকে তাকিয়ে থাকবেন সমর্থক ও ফুটবলপ্রেমীরা। শিরোপা জয়ের পথে যে কোনো মূহুর্তে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন দুই ফরোয়ার্ড। এ দুজন ছাড়াও আজ চোখ থাকবে আরও কয়েকজনের ওপর। যাদের নিয়ে ফাইনালের যুদ্ধ জয়ে নামবেন দুই কোচ।
প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা থেকে এক পা দুরত্বে ম্যানচেস্টার সিটি। আর চতুর্থবারের মতো শিরোপা ছোঁয়া থেকে এক ম্যাচ দূরে ইন্টার মিলান। মাঠের খেলার জন্য প্রস্তুত দুদলের খেলোয়াড়রা। প্রতিপক্ষকে ছেড়ে কথা বলবে না কেউ।
২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল ম্যান সিটি। তবে, সে যাত্রায় চেলসির কাছে হেরে শিরোপা অধরা থেকে যায় সিটিজেনরা। অন্যদিকে, ২০১০ সালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় ও সর্বশেষ শিরোপা ঘরে তোলে ইন্টার মিলান। ১৩ বছর পর আবার ফাইনালে তারা।
চলতি মৌসুমের সার্বিক বিবেচনায় এগিয়ে ম্যানসিটি। ফাইনালে ফেভারিট ভাবা হচ্ছে তাদের। এর বড় কারণ, সিটির অদম্য আক্রমণভাগ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১২ ম্যাচে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা গোল করেছে ৩১ টি। যার মধ্যে ১২ টিই এসেছে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আর্লিং হল্যান্ডের পা থেকে। ম্যানসিটির এই নরওয়ের তারকাই যে পেপ গার্দিওলার সবচেয়ে বড় অস্ত্র, তা জানা হয়ে গেছে সবার। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৫২ ম্যাচে ৫২ গোল করেছেন হল্যান্ড। ফাইনালে ইন্টারের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি তিনিই।
হল্যান্ডকে সঙ্গ দিতে তৈরি আছেন কেভিন ডি ব্রুইন ও ইকাই গুন্দোগান। অ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনে খেলেন এই দুই তারকা। মাঝমাঠের দখল নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাদের জুরি মেলা ভার। চোখ থাকবে দুই উইংয়ে জ্যাক গ্রিলিশ ও বের্নাদো সিলভার ওপরও।
সবার লক্ষ্য একটাই। হল্যান্ডকে বলের যোগান দাও। সুযোগ বুঝে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভাঙতে ফলস নাইনে থাকা হল্যান্ড ভুল করেন কমই। তবে, ইন্টারের জন্য আশার কথা, গত সাত ম্যাচে মাত্র একবারই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পেরেছেন হল্যান্ড।
সিটিজেনদের হারাতে নিজেদের সামর্থ্যের শতভাগের চেয়েও হয়তো বেশি দিতে হবে ইন্টার মিলানকে। ইতালিয়ান ক্লাবটির কোচ সিমোনে ইনজাগির ভরসার জায়গা আর্জেন্টাইন তারকা লাউতারো মার্টিনেজ। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ২৮ গোল করেছেন তিনি। সিটির ডিফেন্স ভাঙতে মার্টিনেজকে সঙ্গ দিতে তৈরি আছেন রোমেলো লুকাকু ও এডিন জেকো।
রক্ষণে জোর দিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে সফল হতে দেখা গিয়েছে মার্টিনেজ-লুকাকুকে। তবে, আজ লুকাকুকে দেখা যেতে পারে অ্যাটাকিং মিড থেকে আক্রমণ শানিয়ে দিতে।
লড়াইয়ের ময়দানে এক পক্ষের অস্ত্র হয়তো বেশি ক্ষুরধার। কিন্তু, সঠিক সময়ে সঠিক প্রয়োগ যারা করতে পারবে, শ্রেষ্ঠত্ব তাদের।