গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
রাজধানীর বাড্ডায় গৃহবধূ মৌসুমি বড়ুয়াকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সাজু বড়ুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ (অরেঞ্জ) এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামি সাজু বড়ুয়া জামিনে ছিলেন। অসুস্থ থাকায় এদিন তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
নথি থেকে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল সাজু বড়ুয়া ও মৌসুমি বড়ুয়ার বিয়ে হয়। এরপর থেকে মৌসুমির শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুক দাবি করে। এর জন্য তারা ওই গৃহবধূর ওপর নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে শ্বশুরের কাছে ৮০ হাজার টাকা যৌতুক চায় সাজু। তবে, তা দিতে ব্যর্থ হন মৌসুমির বাবা।
২০০৮ সালের ৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সাজু তার স্ত্রীর গায়ের কাপড়ে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় মৌসুমির চিৎকারে লোকজন এলেও কাউকে আগুন নেভাতেও দেননি সাজু। এতে মৌসুমির শরীর পুড়ে যায়। পরে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এ ঘটনায় মৌসুমির বাবা উত্তম বড়ুয়া ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বাড্ডা থানায় প্রথমে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। পরে, তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। ২০০৮ সালের ২৯ মার্চ বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক(এসআই) শেখ মাহবুবুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।