সিরাজ দুর্দান্ত, সিরাজ অবিশ্বাস্য!
ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার শেষে মোহাম্মদ সিরাজের বোলিং ফিগার ৫-১-৭-৫! এমন বোলিং ফিগার দেখে যে কারই চোখ কপালে ওঠার কথা। এ যে এক কথায় অবিশ্বাস্য। সিরাজ অবশ্য এটা নিয়েই থেমে থাকেননি। পরেও দেখান নিজের ম্যাজিক। তাতে এলোমেলো হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারকে শেষ করে দিলেন প্রথম স্পেলেই। এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতীয় এই পেসার গড়েছেন অনন্য এক রেকর্ড। বসেছেন শ্রীলঙ্কারই কিংবদন্তি পেসার চামিন্দা ভাসের পাশে।
নিজের করা প্রথম ১৬ বলের মধ্যেই পাঁচ লঙ্কান ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখান সিরাজ। তাতে বসেছেন ২০ বছর আগে করা ভাসের পাশে। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের করা প্রথম ১৬ বলেই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ভাস। অবিশ্বাস্য সেই রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি লঙ্কানদের বিপক্ষেই করলেন সিরাজ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কে জানতো তখন, এটিই কাল হয়ে দাঁড়াবে! প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে শূন্য রানে ফিরে যান কুশল পেরেরা। তাকে শিকার বানান জাসপ্রীত বুমরাহ। এরপরের দৃশ্যপটেই শুধুই সিরাজ। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে পাথুম নিশাঙ্কাকে (২) দিয়ে শুরু। সিরাজের বলে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার।
নিশাঙ্কা আউট হওয়ার এক বল পরই সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (০) লোগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। পরের বলে চারিথ আসালাঙ্কাকে ইষাণ কিষাণের ক্যাচ বানিয়ে সিরাজ মাতেন আনন্দে। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা চার রান করে শিকার হন সিরাজের।
ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া ভুল ছিল লঙ্কান অধিনায়কের, তাকে শূন্য রানে বোল্ড করে যেন সেটিই জানান দিলেন সিরাজ। নিজের শেষ শিকার হিসেবে বোল্ড করেন কুশাল মেন্ডিসকে। ৩৪ বলে ১৭ রান করা মেন্ডিস চেষ্টা করেছিলেন দলটাকে টেনে তুলতে। কিন্তু, সিরাজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে সেটি আর হয়ে ওঠেনি।
এর আগে ৩২ রানে চার উইকেট ছিল সিরাজের ক্যারিয়ারসেরা। সেটি টপকে গেলেন ২১ রানে ছয় উইকেট নিয়ে। মাত্র ৫০ রানে অলআউট হওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭-১-২১-৬ এর বিধ্বংসী বোলিং ফিগার নিয়ে সিরাজ হয়ে রইলেন ইনিংসের বিজ্ঞাপন।