নৌকার মিছিল থেকে বিএনপির ফেস্টুন ভাঙার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন স্থানে কারাবন্দি বিএনপিনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর এ্যানির মুক্তির দাবিতে সাঁটানো ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিল থেকে উত্তর তেমুহনী-দক্ষিণ তেমুহনী বাজার সংযোগ সড়কের পাশে এসব ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়।
আজ রোববার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর নেতৃত্বে মিছিলে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভুঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ মান্না, লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ভুলু, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী, জেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক সি এম আবদুল্লাহ, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুছ হাওলাদার রূপম, চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদ বাবলু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ বলেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন শহরে ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়েছে। আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেসব ফেস্টুন ভাঙচুর করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ দলটি সন্ত্রাসী স্বভাবের। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে তারা ক্ষমতায় বসে আছে। কিন্তু এভাবে বেশিদিন টিকবে না তারা।
নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, আমি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নৌকায় ভোট চেয়ে আমি জনসমর্থনে মিছিল করেছি। অতিউৎসাহী হয়ে কেউ বিএনপির ব্যানার-ফেস্টুন ভেঙেছে কি না, আমি জানি না। আমি অপকর্ম সমর্থন করি না। কেউ আমাকে কোনো কিছু জানায়নি।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী রয়েছেন। ৫ নভেম্বর এ আসনের ১১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে দুই লাখ নয় হাজার ৯৬ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৮ জন নারী ভোটার।