খাসি-গরুর কথা বলে কুকুরের মাংস বিক্রি, আটক ৪
কয়েকজন তরুণ বিভিন্ন স্থান থেকে কুকুর ধরে এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যায়। পরে সেগুলো জবাই করে। বিষয়টি স্থানীয়দের চোখে পড়ে। সন্দেহ হয় তাদের। গতকাল বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলেও একই ঘটনা। কুকুর নিয়ে তরুণদের বাগানের দিকে যেতে দেখে সন্দেহ হয়। পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। সেখানে পা বেঁধে জবাই করে রাখা একটি কুকুরও পায় পুলিশ। এ ছাড়া আরও কয়েকটি কুকুরের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। তখনও ওই তিন তরুণ পরিত্যক্ত বাড়িটিতেই ছিল। পুলিশ তাদের আটক করে। পরে বিরিয়ানি বিক্রি করে এমন একজনকেও আটক করে। তারা জানায় খাসি-গরুর কথা বলে কুকুরের মাংস কম দামে বিক্রি করে বিভিন্ন জায়গায়।
ঘটনাটি খুলনার খালিশপুর এলাকার। ওই চার তরুণ খালিশপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে কুকুরগুলো কাটত। গতকাল বিকেলে তাদের আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো—ডলার হাউজ মোড় এলাকার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাজ (১৬), খালিশপুর বঙ্গবাসী মোড় এলাকার নর্থ জোন-২৩ এর মো. আবু সাইদ (৩৭), ২ নং নেভি গেট এলাকার মো. সিয়াম (১৬) ও চরের হাট এলাকার প্রেম সরদার (১৬)। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরমান ও উৎস দুজন এখনও পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক মাস ধরে কয়েকজন তরুণ এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কুকুর ধরে বাগানের মধ্যে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে যেতো। বেশ কয়েকবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় স্থানীয়দের সন্দেহ। বুধবার বিকেলে এলাকাবাসী ওই চারজনকে একটি কুকুর নিয়ে বাগানের দিকে যেতে দেখে। সন্দেহ হওয়ায় খবর দিলে পুলিশ এসে তিনজনকে আটক করে। পরে বিরিয়ানি রান্না করে বিক্রি করে এমন একজনকেও আটক করা হয়। এ সময় সেখানে পা বেঁধে জবাই করে রাখা একটি কুকুর পাওয়া যায়। এ ছাড়া আরও কয়েকটি কুকুরের দেহাবশেষ পাওয়া যায় পরিত্যাক্ত ভবনটিতে।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এক মাস ধরে তারা খাসি-গরুর কথা বলে অল্প দামে কুকুরের মাংস বিক্রি করত। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত ভবন থেকে চারজনকে আটক করা হয়। এসময় সেখানে হাত-পা বাঁধা জবাই করা একটি কুকুর পাওয়া যায়।’
ওসি আনোয়ার আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে এক যুবক তাদের মাস খানেক আগে কুকুরের মাংস বিক্রির প্রস্তাব দেয়। পরে তারা বিরিয়ানি রান্না করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতো। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পশু চিকিৎসক এসেছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রাণি কল্যাণ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’