চালের দাম বাড়ালে মিলের লাইসেন্স বাতিল : খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম বাড়ালে মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্য, পানি, কৃষি, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় একসাথে দব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। দ্রব্যমূল্য কমানো আমাদের নির্বাচনি ওয়াদা ছিল। এই কারণে চালসহ সকল দ্রব্যমূল্য কমাতে শেখ হাসিনার সরকার জিরো টলারেন্স। আশা করছি আমরা সফল হবো।
দেশের অন্যতম বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর পরিদর্শন ও জেলা চালকল মালিকদের সাথে বৈঠক শেষে আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কুষ্টিয়াতে এই অভিযান প্রথম নয়। সারা দেশেই অভিযান চলছে। দাম কিছুটা কমেছে। করপোরেট ব্যবসায়ীরা সুপার শপে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে নিম্নপর্যায়ের খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যাচ্ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও অতি মুনাফার লোভে কিছু মানুষ এটা করছে। কুষ্টিয়ায় যে দাম বেধে দেওয়া হয়েছে সেটাই থাকবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা তীব্র দৃষ্টি রাখছি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যারা প্রতিযোগিতা করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, জেল জরিমানা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে এদের মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হবে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে দুপুরে অবৈধ মজুদসহ কেউ কোনো অনিয়ম করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের দাম বাড়াচ্ছে কিনা এসব খতিয়ে দেখতে দেশের অন্যতম বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর পরিদর্শন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ দুপুরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে খাজানগরের বিভিন্ন মিল পরিদর্শন করেন আভিযানিক দল।
এসময় লাইসেন্স এর মেয়াদ না থাকা ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত আটা মজুত করায় মেসার্স সুবর্ণা অটো ফ্লাওয়ার (আটার) মিলের গোডাউন সিলগালা করা হয়। এছাড়াও অবৈধ ধান মজুতের চিত্র পেয়ে আল্লাহর দান রাইচ মিলের ধানের গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে।
অভিযানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান শেষে বিকেল ৪টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার চালকল মালিকদের সাথে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের ক্যামেরা এই বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন খাদ্যমন্ত্রী। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এদিকে, মন্ত্রীর এই অভিযান ও বৈঠক শেষে চালকল মালিকরা বলছেন, তারা সরকারকে সহযোগিতা করতে চান। বেধে দেওয়া দামেই বিক্রি করছেন। তবে ধানের দাম বেড়ে গেলে কিছু করার থাকবে না। আপাতত চালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।