রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মুখোমুখি কিম ওং-দেগুইতো
বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ পাচারের ঘটনায় মূল দুই চরিত্র ক্যাম সিন ওং (কিম ওং) ও মায়া সান্তোস দেগুইতোকে প্রথমবারের মতো শুনানিতে মুখোমুখি করেছে ফিলিপাইনের সিনেটের ব্লু রিবন কমিটি।
ফিলিপাইনের পত্রিকা ইনকোয়্যারের অনলাইনে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুনানি শুরু হয়। ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি নগরের জুপিটার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত কিম ওং শুনানিতে উপস্থিত হয়েছেন। প্রথম দুই শুনানিতে দেগুইতো ছিলেন, তখন ওংকে দেখা যায়নি। আর তৃতীয় শুনানিতে দেগুইতোকে দেখা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার গত ৫ ফেব্রুয়ারি চুরি হয়। এর মধ্যে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবেশ করে।
ফিলিপাইনের অর্থ ছাড় হয় রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের মাকাতি নগরের জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোর হাত দিয়ে। যে চারটি হিসাবে অর্থ ছাড় হয়, যেসব হিসাব কিম ওং খুলেছিলেন বলে এর আগে দাবি করেছিলেন দেগুইতো। তিনি বলেন, আরসিবিসির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী লরেঞ্জো টানের বন্ধু।
কিন্তু দেগুইতোর অভিযোগ অস্বীকার করেন কিম ওং। শুনানির সময় ওং দাবি করেন, তিনি শুধু শুহুয়া গাও নামের একজনকে সঞ্চয় হিসাব খোলার জন্য দেগুইতোর কাছে পাঠিয়েছিলেন।
অর্থ পাচারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো দুই চীনা ব্যবসায়ীর নাম শুনানিকালে উল্লেখ করেছিলেন কিম। তাঁরা হলেন শুহুয়া গাও ও ডিং ঝিজে।
ফিলিপাইনের সিনেটের চতুর্থ শুনানিকালে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।