নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বাতিলের ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী জুলেখা বেগম। অভিযোগে বলা হয়, মনোনয়নপত্র বাতিলের ভয় দেখিয়ে জুলেখা বেগমের কাছ থেকে ওই নির্বাচন কর্মকর্তা ২০ হাজার নিয়েছেন এবং তাঁর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন।
আগামী ৭ মে চতুর্থ ধাপে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অভিযোগে জুলেখা বেগম জানান, তিনি যথাযথভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ করে দাখিল করেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের আগে অর্থাৎ গত ৮ এপ্রিল রাতে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহকারী (পিয়ন) ছানা মিয়া তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে জুলেখার মোবাইলে ফোন করে দ্রুত ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে যেতে বলেন।
ফোনে ওই পিয়ন জানান, টাকা নিয়ে না আসলে মনোনয়নপত্র বাতিল হবে। পরে তিনি (জুলেখা) ঘরে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ও তাঁর ছেলে মিলনকে নিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছালে নির্বাচনী কর্মকর্তার নির্দেশে পিয়ন ছানা মিয়া ফটকে তালা মেরে দেয়। তাঁকে (জুলেখা) মনোনয়নপত্র বাতিলের ভয় দেখালে তিনি ২০ হাজার টাকা দেন। পরে নির্বাচনী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এ কথা কাউকে বললে মনোনয়নপত্র বাতিল হবে বলে ভয় দেখান।
অভিযোগে জুলেখা আরো বলেন, ‘মনোনয়নপত্র বৈধ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভয়ে কাউকে বিষয়টি আর জানাননি। কিন্তু মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় তিনি এ বিষয়টি সুরাহা চেয়ে আবেদন করেছেন।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতীর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর সত্যতা মিললে উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখছি।’
এ ব্যাপারে নির্বাচনী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।